কোম্পানীগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে তরুণদের মারধর

নোয়াখালী জেলার মানচিত্র
নোয়াখালী জেলার মানচিত্র

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় সত্তরোর্ধ্ব এক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে মারধর করেছেন একদল তরুণ। এ ঘটনায় মারধরের শিকার হয়েছেন মুক্তিযোদ্ধার নাতিসহ দুজন। গতকাল রোববার রাত আটটার দিকে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

মারধরের শিকার ব্যক্তিরা হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সাত্তার (৭২), তাঁর নাতি মেহেদী সাকিব (১৮) ও নাতির বন্ধু উপজেলার ওমর ফারুক।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সাত্তার অভিযোগ করেন, গতকাল রাত পৌনে আটটার দিকে এশার নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় লোকজন তাঁকে জানান, বাদশা নামের একটি ছেলে ও তাঁর অনুসারীরা তাঁর (আবদুস সাত্তার) নাতি বসুরহাট পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী সাকিবকে মারধর করতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে অবস্থান করছে। এমন খবর শুনে তিনি সেখানে যান। বাদশাকে লোহার রড, হাতুড়িসহ আটক করে একটি থাপ্পড় দেন। এ সময় সেখানে আসেন মো. মোহন (১৮), জয়সহ ১০ থেকে ১৫ জন কিশোর-তরুণ।

আবদুস সাত্তারের অভিযোগ, ‘একপর্যায়ে কিশোর-তরুণ দলের সদস্যরা বাদশাকে থাপ্পড় দেওয়ার কারণ জানতে চেয়ে আমার ওপর হামলা চালায়। আমাকে চিত করে ফেলে দিয়ে মারধর করে। এ সময় আমার নাতিসহ দুজন আহত হয়। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।’ তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়ে এসব কথা বলতেও আমার লজ্জা লাগছে। এ ঘটনায় বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সঙ্গে কথা বলে মামলা করব।’

হামলার শিকার ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী সাকিব বলেন, ‘উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে মোহন ও বাদশার নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জন লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে আমার ওপর হামলা চালায়। এ সময় আমার নানা ও বন্ধু ওমর ফারুক আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাঁদের ওপরও হামলা করা হয়।’ তবে হামলার কারণ সম্পর্কে এ ছাত্রলীগ নেতা কিছু জানেন না বলে দাবি করেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মোহনসহ অন্যদের মুঠোফোনে কল করা হলেও তাঁরা সাড়া দেননি।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাদেকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত লিখিত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।