পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধে কিশোরীদের হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকা দেওয়ার পর দুটি উচ্চবিদ্যালয়ের ১২ ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
আজ মঙ্গলবার একটি ও গত রোববার অপর একটি বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, টিকার কারণে নয়, ছাত্রীরা ভয় পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার টিকা গ্রহণ করার পরপরই উপজেলার একটি বিদ্যালয়ের সাত ছাত্রী অসুস্থতা বোধ করলে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক কর্মকর্তা মু. উমর ফারুক জানিয়েছেন, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ছাত্রীদের শারীরিক অবস্থা ভালো আছে। আতঙ্কিত হয়ে তারা অসুস্থ হতে পারে। বিকেলেই তারা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যায়।
এর দুই দিন আগে গত রোববার উপজেলার অপর একটি বিদ্যালয়ের পাঁচ ছাত্রী এইচপিভি টিকা নেওয়ার পরপর অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, এবার উপজেলার ৫ হাজার ৬০০ শিক্ষার্থীকে এইচপিভি টিকা দেওয়া হবে। তিন দিনে প্রায় দেড় হাজার ছাত্রীকে টিকা দেওয়া হয়েছে।
এতে একটি ইউনিয়নের দুই প্রতিষ্ঠানের ১২ ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
একটি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বলেন, মঙ্গলবার বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের টিকা দেওয়ার পরপরই অষ্টম ও নবম শ্রেণির ৭ ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তেন মং প্রথম আলোকে বলেন, টিকা দেওয়ার পর ভয়ভীতির কারণে ছাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। টিকায় তাদের শারীরিক কোনো সমস্যা হয়নি। তবে কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে তাদের মনোবল বৃদ্ধি করে স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।