পথচলার শুরু থেকেই বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করছে প্রথম আলো। এ জন্য দীর্ঘ ২৬ বছরেও প্রথম আলোর প্রতি পাঠকদের ভালোবাসা ও বিশ্বাস বিন্দুমাত্র কমেনি; বরং প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে। তবে শুধু বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনই নয়, সমাজ পরিবর্তনের জন্যও কাজ করে প্রথম আলো। প্রথম আলোর এই পথচলা সুদীর্ঘ হবে।
কুমিল্লায় প্রথম আলোর ২৬তম বর্ষপূর্তি উদ্যাপন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন অতিথিরা। আজ মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের সেমিনার কক্ষে কেক কাটা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বর্ণাঢ্য আয়োজন করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা। একইভাবে খুলনা, কুড়িগ্রাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ও ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপিত হয়েছে।
কুমিল্লায় সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে এক নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে আসা অতিথিরা ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের কঠিন দিনগুলোয় সাহস, সততা ও বস্তুনিষ্ঠতার সঙ্গে সংবাদ পরিবেশনের জন্য প্রথম আলোকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মাহমুদুল হাসান, ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক তারিন বিনতে এনাম, শিক্ষার্থী সুলতানা রাজিয়াসহ অনেকে।
মাহমুদুল হাসান বলেন, প্রথম আলো তাদের প্রতিটি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বিভিন্ন আয়োজন ও নতুন নতুন স্লোগানে সাজিয়ে থাকে। এবার ছাত্র-জনতার আন্দোলন নিয়ে ‘জেগেছে বাংলাদেশ’ স্লোগানে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সাজিয়েছে প্রথম আলো। শুরু থেকেই বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার পাশাপাশি জনকল্যাণমূলক কাজ করেছে পত্রিকাটি। শিল্পসাহিত্য, জ্ঞানচর্চায় ভূমিকা রাখছে প্রথম আলো। একজন সচেতন পাঠক যেকোনো একটি গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ প্রথম আলোতেই খোঁজ করেন। কারণ, প্রথম আলো কখনোই পেশাদারত্বের সঙ্গে আপস করেনি। সত্য বললে শত্রু থাকে উল্লেখ করে মাহমুদুল হাসান আরও বলেন, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের পর যদি কেউ সংক্ষুব্ধ না হয়, তাহলে বুঝতে হবে সাংবাদিকতা হচ্ছে না। প্রথম আলো সমাজ পরিবর্তনের জন্য কাজ করে। বন্ধুসভার সদস্যরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে সামাজিক আন্দোলনের কাজগুলো করে যাচ্ছেন।’
আরেক শিক্ষক তারিন বিনতে এনাম বলেন, ‘প্রথম আলোর সামাজিক কাজগুলো আমাকে মুগ্ধ করে। বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানো, গাছ লাগানো, সামাজিক আন্দোলনসহ বিভিন্ন ভালো কাজগুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে বন্ধুসভার মাধ্যমে। প্রথম আলোর জন্য সব সময় শুভকামনা। আগামী দিনের পথচলা সুদীর্ঘ হোক।’
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার সভাপতি দীপদ চন্দ্র দেবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রথম আলো কুমিল্লার আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মাসুদ রানা জুয়েল, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার সাবেক সভাপতি উম্মে হাবিবা, সাধারণ সম্পাদক মো.মাহিনুর রহমানসহ বন্ধুসভার বন্ধুরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বন্ধুসভার সদস্য আনিকা তাবাসসুম।
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে বন্ধুসভার বন্ধুদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় সংগীত পরিবেশন করেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার সদস্য সোহেল রানা, অন্তু চন্দ্র অর্ঘ্য, শাহাদাত হোসেন ওরফে জামিমসহ অন্যরা।
প্রথম আলোর ২৬তম বর্ষপূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে খুলনায় কেক কাটা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও অলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবীর বালু মিলনায়তনে আজ বিকেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে প্রথম আলো পেশাদারত্ব ধরে রেখে সত্যানুসন্ধানী ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করছে। প্রথম আলো সত্যের পথে থাকে, ন্যায়ের পথে থাকে, ভালোর পথে থাকে, ভালোর সাথে থাকে। বাংলাদেশের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে, একনায়কতান্ত্রিকতার বিরুদ্ধে দিনের পর দিন লিখেছে প্রথম আলো। আগামী সময়েও প্রথম আলো পাঠকের হৃদয়ের কাছে পরিবারের সদস্য হয়েই থাকবে।
খুলনা বন্ধুসভার সভাপতি ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক তুহিন রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রবীণ শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক মো. মোর্ত্তুজা আহমেদ, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. এনামুল হক ও নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির শিক্ষক শেখ মাহরুফুর রহমান।
অনুষ্ঠানে আনোয়ারুল কাদির বলেন, প্রথম আলো পত্রিকার একটা গুণ হচ্ছে যে এর একটা আদর্শ আছে। জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলার কাজটি একবারে শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রথম আলো করে যাচ্ছে। এই আদর্শ থেকে প্রথম আলো বিচ্যুত হয়নি। আর এই কারণে প্রথম আলো এত পাঠকপ্রিয়। সারা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পঠিত বাংলা পত্রিকা এটি। এখান থেকে মানুষ সঠিক এবং সমৃদ্ধ তথ্য পায় বলেই এর প্রতি মানুষের আসক্তি বেড়েছে। আর এসব কারণেই প্রথম আলো কোনো সরকারের কাজেই প্রিয়ভাজন হতে পারেনি। আর এই হতে না পারাটার জন্যই এটা প্রথম আলো।
আনোয়ারুল কাদির আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের পতাকার মধ্যে যে সূর্য আছে, সেটা প্রখর দুপুরের সূর্য নয়, পড়ন্ত বিকেলের সূর্য নয়, সেটা ভোরের স্নিগ্ধ সূর্যের আলো। প্রথম আলোর আলো তেমনই স্নিগ্ধ আলো। তারুণ্যের শক্তিকে এগিয়ে নিতে প্রথম আলো ভূমিকা রাখবে বলে আমরা আশা করি।’
বন্ধুসভার বন্ধুসভার বন্ধু রহমতুল্লাহ ও প্রিয়ন্তি ঘোষের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলোর খুলনার নিজস্ব প্রতিবেদক শেখ আল-এহসান। অনুষ্ঠানের একটি পর্বে বন্ধুসভার বন্ধুরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনা করেন। পরে অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটা হয়।
কুড়িগ্রাম শহরের কলেজ মোড় প্রবীণ হিতৈষী সংঘের হলরুমে আজ সকালে ‘জেগেছে বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে প্রথম আলোর ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন করে কুড়িগ্রাম বন্ধুসভা। অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রথম আলো প্রতিনিধি সফি খান শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। পরে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা এবং ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া কুড়িগ্রামের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
অতিথির বক্তব্যে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক তুহিন ওয়াদুদ বলেন, ‘প্রথম আলো শুধু একটি কাগজ নয়, এটি একটি পাঠশালা। আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রতিদিন প্রথম আলোর কাছে শিখি। চারদিকের হাজারো বাধা উপেক্ষা করে সত্যের পথে অবিচল থেকেও টিকে আছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের কর্মী ও পাঠকদের জন্য সত্য তথ্য প্রচারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে চলছে।’
প্রথম আলো কুড়িগ্রাম বন্ধুসভার সভাপতি সিরাতুল জান্নাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মজিদা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হাসিবুর রহমান, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি রাজু মোস্তাফিজ, প্রথম আলো বর্ষসেরা পাঠক সামিউল হক, পাঠাগার আন্দোলনের পলাশ রায়, জয়নাল আবেদীন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বক্তারা বলেন, সংবাদ পরিবেশনের পাশাপাশি পত্রিকাটি অসহায় মানুষের পাশে থেকে নতুন জীবনের আলো দেখায়। এ জন্য পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর আশ্রয়স্থল প্রথম আলো। তাঁরা প্রথম আলোর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন। পাশাপাশি সত্যে তথ্যে আরও এগিয়ে যাওয়ার জন্য সর্বাত্মকভাবে পত্রিকাটির পাশে থাকার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ শহীদ মিনারে আজ বিকেলে প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন বন্ধুসভার সদস্যরা। বন্ধুসভার সভাপতি আরাফাত মিলেনিয়ামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রথম আলোর অর্জন, সাফল্য, আগামী দিনের চিন্তাভাবনা নিয়ে স্বাগত বক্তব্য দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আনোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বন্ধুসভার জেন্ডার ও সমতাবিষয়ক সম্পাদক আলী উজ্জামান নূর।
অতিথির বক্তব্যে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ মোজাহারুল ইসলাম বলেন, জন্মের পর থেকে সাহসের সঙ্গে সত্য তথ্য উপস্থাপন করে আসছে প্রথম আলো। শুধু তা–ই নয়, তরুণদের এগিয়ে নিতে, শিক্ষার্থীদের এগিয়ে নিতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়ে আসছে প্রথম আলো। প্রত্যন্ত এলাকায় বসবাসরত সুবিধাবঞ্চিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর শিশুদের শিক্ষার জন্য আলোর পাঠশালা পরিচালনা করছে। এ ছাড়া গরিব পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তির ব্যবস্থা করছে প্রথম আলো। এসব কার্যক্রমের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের সংবাদপত্রের ইতিহাসে প্রথম আলো অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এরপর জুলাই-আগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদসহ অধিকার আদায়ে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রাম ও মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘লিচু চোর’ কবিতা ও একটি স্বরচিত আবৃত্তি করে শিশুবন্ধু লুবাবা। মাতৃভাষায় দেশাত্মবোধক গানের সঙ্গে নাচ পরিবেশন করে প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত বাবুডাইং আলোর পাঠশালার শিক্ষার্থীরা। ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’ লালনের গান পরিবেশন করেন বন্ধু কাওসার রিপন ও আবদুর রাকিব। কাজী নজরুলের ‘কারার ঐ লৌহ–কবাট’ গানটি পরিবেশন করেন আমিনুল ইসলাম।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ভার্চ্যুয়াল কনফারেন্স রুমে প্রথম আলোর ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা। এতে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার উপদেষ্টা মোহাম্মদ হাফিজুল ইসলাম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার সভাপতি ফয়সাল আহমেদসহ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যসহ অন্য বন্ধুরা। আজ সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয়।
মোহাম্মদ হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘প্রথম আলো সব সময় বাংলা মানুষকে আলোর পথ দেখিয়ে এসেছে। শুরু থেকে অনেকে তাদের সততা ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতাকে গ্রহণ করতে পারেনি। অনেক হামলা ও কটাক্ষের শিকার হয়েছে। কিন্তু প্রথম আলো কখনো পেছনে ফিরে তাকায় না। সততা ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার লক্ষ্য সামনে রেখে এগিয়ে যায়।’
অনুষ্ঠানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার সারা বছরের কার্যক্রম নিয়ে একটি স্লাইড পরিবেশন করেন সহসভাপতি আবদুল্লাহ আল রাকিব ও মোহাম্মদ শিহাব হিফজু। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার বইমেলা সম্পাদক রোকসানা আক্তারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করেন বন্ধুসভার বন্ধু আঞ্জুম।
ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাককানঈবি) প্রথম আলোর ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সুধী সমাবেশের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, প্রথম আলো প্রতিষ্ঠার পর থেকেই জনস্বার্থকে গুরুত্ব দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে আসছে। তারা সত্য বলে। প্রথম আলো শুধু নির্ভীক সাংবাদিকতাই করে না, তারা আরও নানা কাজের সঙ্গে যুক্ত। এসবের মাধ্যমে প্রথম আলো পাঠকদের সৃজনশীল হতে সহযোগিতা করে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জাককানইবি বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক সাব্বির মিয়া। অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের প্রধান শেখ সুজন আলী, হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্যপদ্ধতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাহিদুল ইসলাম, মার্কেটিং বিভাগের প্রভাষক সুমনা আক্তার প্রমুখ। সমাপনী বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার সভাপতি সাকিবুল হাসান।
জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে শেখ সুজন আলী, ‘প্রথম আলো শুধু পত্রিকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি। তারা কিশোর আলো, বিজ্ঞান চিন্তার মতো প্রকাশনার মাধ্যমে শিশু ও তরুণদের সৃজনশীল করে তুলছে। অনলাইন প্রকাশনার মাধ্যমে সারা পৃথিবীর বাংলা ভাষার মানুষের কাছে দেশের খবর পৌঁছে দিচ্ছে। আশা করি সামনের দিনে প্রথম আলো আরও এগিয়ে যাবে।’
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার সহসভাপতি তৌয়োবা নুসরাত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাবেয়া আক্তার ও তামান্না ইয়াসমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আফরিন জাহান, অর্থ সম্পাদক আকিব হোসেন, দপ্তর সম্পাদক কর্ণজয় ত্রিপুরা, প্রচার সম্পাদক পুষ্পিতাসহ অন্য বন্ধুরা।
বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রথম আলো এবং বন্ধুসভার ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করেছেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি বন্ধুসভার সদস্যরা। আজ মঙ্গলবার এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি উপাচার্য অধ্যাপক সহিদ আখতার হোসেন, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মোহাম্মদ শামসুল হুদা, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি বন্ধুসভার কো-অর্ডিনেটর এহসান উল্লাহ খান।
ছাত্র-জনতার গণ–অভ্যুত্থানে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। উপাচার্য প্রথম আলো এবং বন্ধুসভার কাজের প্রশংসা করেন। পাশাপাশি সামাজিক কার্যক্রম এবং আগামী দিনের জন্য নিজেদের দক্ষ করে তোলার জন্য শিক্ষার্থীদের বন্ধুসভায় যুক্ত হতে উৎসাহিত করেন।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়েছেন নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, প্রতিনিধি, খুলনা, সংবাদদাতা, কুমিল্লা ও কুড়িগ্রাম]