পটুয়াখালী জেলার মানচিত্র
পটুয়াখালী জেলার মানচিত্র

পটুয়াখালীতে ২১টি হিন্দু পরিবারের জমি দখলের চেষ্টা, থানায় অভিযোগ

পটুয়াখালী শহরের টাউন কালিকাপুর এলাকায় ২১টি হিন্দু পরিবারের রেকর্ডীয় জমি দখলের চেষ্টা করছে একদল ভূমিদস্যু। এ ঘটনায় হিন্দু পরিবারগুলো প্রতিকার চেয়ে আজ সোমবার পটুয়াখালী সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে।

তবে ওই হিন্দু পরিবারগুলোর দাবি, ওই ভূমিদস্যুরা নিজেদের বিএনপির কর্মী দাবি করে তাদের খুন-জখমসহ দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে।

ভুক্তভোগী বিএডিসির অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী আরতি রানী বলেন, ২০০৯ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে এসব হিন্দু পরিবার টাউন কালিকাপুর এলাকার এসএ ৯৩১ নম্বর খতিয়ানের ২৬৭০ দাগে ১ একর ২১ শতাংশ এবং ২৬৬৯ দাগে ২৯ শতাংশসহ মোট দেড় একর জমি কবলা দলিলমূলে ক্রয় করে। এরপর তারা ওই জমিতে বালু দিয়ে ভরাট করে বাড়ি নির্মাণের উপযোগী করে।

ভুক্তভোগী কলেজশিক্ষক স্বপন খাসকেল বলেন, আজ সকালে হিন্দু পরিবাগুলো তাদের জমিতে ঘর নির্মাণ করতে গেলে স্থানীয় বেল্লাল খান, মনিরুজ্জামান নাসির ও জামাল বিশ্বাস একদল সন্ত্রাসী নিয়ে কাজে বাধা দেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে।

স্বপন খাসকেল আরও বলেন, ‘এর আগেও এসব ভূমিদস্যু ওই জমিতে প্রবেশে আমাদের বাধা দিয়েছে। ৯ অক্টোবর আমরা সেখানে গেলে তারা আমাদের নানাভাবে হুমকি-ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। আমাদের খুন-জখমসহ নানা ধরনের হুমকি দেয়। এমনকি তারা আমাদের দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়ারও হুমকি দেয়। পরে আমরা ভুক্তভোগী হিন্দু পরিবারের সদস্যরা পটুয়াখালী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। এ ছাড়া আমরা ২১টি পরিবারের সদস্যরা গতকাল রোববার দুপুরে পুলিশ সুপারের কাছেও বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছি এবং এর প্রতিকার দাবি করেছি।’

অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বেল্লাল খান নিজেকে বিএনপির কর্মী বলে পরিচয় দেন। তিনিও ক্রয়সূত্রে এই জমির মালিক বলে দাবি করেন।

মনিরুজ্জামান নাসির বলেন, ‘আমি বিএনপির লোক। আওয়ামী লীগের সময়ে আমরা নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়েছি। এখনো হয়রানির শিকার হব, এটা মানা যায় না।’

বেল্লাল ও মনিরুজ্জামান নাসির নিজেদের বিএনপির কর্মী পরিচয় দিলেও পটুয়াখালী পৌর বিএনপির সভাপতি মো. কামাল হোসেন বলেন, তাঁরা বিএনপির কেউ নন। বিএনপির কোনো পদ-পদবিতে তাঁদের নাম নেই।

এ ব্যাপারে পটুয়াখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রতনুজ্জামান বলেন, দুই পক্ষকে থানায় আসতে বলা হয়েছে। তাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থানে থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।