চাঁপাইনবাবগঞ্জে সাবেক যুবলীগ নেতা খাইরুল আলম ওরফে জেমকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে শহরের উদয়ন মোড়ে তাঁকে কয়েকজন দুর্বৃত্ত শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৫০ শয্যার জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তিনি মারা যান।
খাইরুল আলম জেলা যুবলীগের সাবেক সহশ্রমবিষয়ক সম্পাদক ও শিবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ছিলেন। তিনি শিবগঞ্জ পৌর এলাকার বাসিন্দা।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মুনিরা খাতুন বলেন, খাইরুলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে চিহ্ন ছিল। তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর মতো অবস্থা ছিল না। চিকিৎসারত অবস্থায় তিনি সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে মারা যান।
খাইরুল আলমকে হাসপাতালে দেখতে এসে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওদুদ বলেন, এটি পূর্বপরিকল্পিত ঘটনা। দীর্ঘদিন থেকে পুলিশের একজন উর্ধতন কর্মকর্তা তাঁকে মেরে ফেলার ও ক্রসফায়ারে দেওয়ার হুমকি দেন। বিষয়টি সরকারের উচ্চ পর্যায়ে জানানো হয়েছে। কয়েক দিন আগে পৌর মেয়র মোখলেসুর রহমান ও স্থানীয় নেতা লিটন ১০ জনকে হত্যা করা হবে হুমকি দিয়েছিলেন। সেই তালিকায় প্রথম ছিল জেমের নাম। তারই ধারাবাহিকতায় এ হত্যাকাণ্ডে।
পৌর মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা মোখলেসুর রহমান বলেন, সংসদ সদস্য আবদুল ওদুদের অভিযোগ ভিত্তিহীন।
ফোন না ধরায় পুলিশের ওই কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
সংসদ সদস্যের এ বক্তব্যের ব্যাপারে জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, যে–ই এ ঘটনার পেছনে থাকুক না কেন, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।