ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে উপড়ে গেছে সড়কের পাশের গাছ। আজ সোমবার পটুয়াখালী-মির্জাগঞ্জ সড়কের চৌরাস্তা এলাকায়
ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে উপড়ে গেছে সড়কের পাশের গাছ। আজ সোমবার পটুয়াখালী-মির্জাগঞ্জ সড়কের চৌরাস্তা এলাকায়

পটুয়াখালীতে বেড়িবাঁধে ভাঙন, জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত নিম্নাঞ্চল

পটুয়াখালীতে ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। জোয়ারের জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। জেলা শহর হয়ে পড়েছে বিদ্যুৎহীন। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন অনেক মানুষ। মোবাইলের নেটওয়ার্কও হয়েছে দুর্বল।

আজ সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পটুয়াখালী-গলাচিপা সড়কের আমখোলা ইউনিয়নের সুহরি এলাকার জলকপাটের সংযোগ সড়ক জলোচ্ছ্বাসের কারণে ভেঙে গেছে। আজ সকাল থেকে এই সড়কে যান চলাচল বন্ধ আছে। জেলা শহর থেকে মির্জাগঞ্জ উপজেলা সড়কের শহরের চৌরাস্তা এলাকায় অনেক গাছ ভেঙে পড়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে পটুয়াখালী-মির্জাগঞ্জ সড়কে চলাচল। জেলা প্রশাসকের বাসভবনের সামনে চারটি বড় চাম্বলগাছ উপড়ে পড়েছে। বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল এলাকা ৫ থেকে ৮ ফুট উঁচুর জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে।

জোয়ারের জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা

পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া দপ্তরের ইনচার্জ মাহবুবা সুখী বলেন, গতকাল দিবাগত রাত ২টা ৪২ মিনিটে বাতাসের সর্বোচ্চ গতি ১১১ কিলোমিটার রেকর্ড করা হয়েছে। আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৭২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকা ২ থেকে ৩ ফুট জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

এ দিকে গলাচিপা উপজেলার চরবিশ্বাস ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। ইউনিয়ন পরিষদটির চেয়ারম্যান তোফাজ্জেল হোসাইন বলেন, তাঁর ইউনিয়নের পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ৫৫/৩ পোল্ডারের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ ভেঙে পূর্ব চরবিশ্বাসের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। চরবাংলায় কোনো বেড়িবাঁধ না থাকায় তেঁতুলিয়া নদীর জোয়ারের জলোচ্ছ্বাসে আশপাশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দী হয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন চরের প্রায় দুই হাজার মানুষ।

ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে উপড়ে গেছে গাছ। আজ সোমবার পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ভবনের সামনে

 এ ছাড়া রাঙ্গাবালী উপজেলার চর মোন্তাজ ইউনিয়নের চর আন্ডায় বেড়িবাঁধ উপচে সাতটি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সুমন দেবনাথ বলেন, গতকাল রোববার থেকে এখন পর্যন্ত জেলায় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ৫৯ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে শুকনা খাবার ও রান্না করা খিচুড়ি বিতরণ করা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে।