‘সিনিয়র-জুনিয়র’ বিরোধের জের ধরে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার বেলা দেড়টা ও সাড়ে তিনটার দিকে ক্যাম্পাসের শান্তিনিকেতন ও টং এলাকায় এ মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে একজনের মাথা ফেটে গেলে তাঁকে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ও শিক্ষার্থীদের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, আজ বেলা দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিনিকেতন এলাকায় একটি চায়ের দোকানের সামনের বেঞ্চের ওপর বসেছিলেন ১৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রুপক পাল। একই সময় সেখানে যান ১৩তম ব্যাচের কয়েকজন ছাত্র। তাঁরা রুপককে আরেকটি বেঞ্চে বসতে বললে তিনি তা শোনেননি। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে কথা–কাটাকাটি হয়।
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কোনো কমিটি নেই। তবে রুপক ক্যাম্পাস ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী নেতা মোহাইমিনুল ইসলাম ওরফে নুহাশের অনুসারী।
ছাত্রলীগ ও শিক্ষার্থীদের সূত্রগুলো আরও জানায়, এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর টঙের দোকানের পাশে একটি ব্যাংকের এটিএম বুথের সামনে রুপককে ডেকে জেরা করেন ক্যাম্পাস ছাত্রলীগের আরেক নেতা নজরুল ইসলাম ওরফে নাঈমের অনুসারীরা। তখন রুপকের পক্ষ নিয়ে এগিয়ে আসেন মোহাইমিনুলের পক্ষের কয়েকজন কর্মী। এ নিয়ে সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন আহত হন। দুপুরের ঘটনার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত করেন।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা নজরুল ইসলামের মুঠোফোনে কল করলেও তিনি ধরেননি। পরে ছাত্রলীগের অপর পক্ষের নেতা মোহাইমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘সিনিয়র-জুনিয়র’ নিয়ে দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের মধ্যে হালকা ঝামেলা হয়েছে। এর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কোনো সম্পর্ক নেই। এ ঘটনার সঙ্গে তাঁরা কোনো পক্ষ জড়িত নন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ইকবাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখন উভয় পক্ষ শান্ত আছে। আমরা উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি।’
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, আগের ঘটনার জেরে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ক্যাম্পাসের শান্তিনিকেতনে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা নজরুল ইসলামের পক্ষের ১৪তম ব্যাচের ছাত্র মাইনুল হাসানকে হলের সামনে মারধর করেন প্রতিপক্ষ মোহাইমিনুল ইসলামের অনুসারীরা। এতে তাঁর মাথা ফেটে যায়। আহত মাইনুলকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে ও পরে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।