বাসায় আওয়ামী লীগ নেতা যাওয়ায় নির্বাচন কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানো নোটিশ

সিটি নির্বাচন
প্রতীকী ছবি

রাজশাহীতে মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইশতিয়াক আহমেদ ওরফে লিমনকে এক নির্বাচন কর্মকর্তার বাসায় পাওয়া যাওয়ার ঘটনায় ওই কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল হোসেন। ইতিমধ্যে নোটিশের জবাব দিয়েছেন বলে তিনি প্রথম আলোকে জানিয়েছেন।

ছাত্রলীগ ও পুলিশ সূত্র জানায়, গত রোববার দিবাগত রাতে জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল হোসেনের বাসায় ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে অবস্থান করতে দেখে তাঁকে বহিষ্কারের দাবি করেন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা। ওই দিন রাত ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত নির্বাচন কর্মকর্তার বাসার সামনে বিক্ষোভ করেন তাঁরা।

রাত ১২টার দিকে নগরের বোয়ালিয়া থানার পুলিশ এসে আওয়ামী লীগ নেতাকে ওই বাসা থেকে নিয়ে যান। পরের দিন গতকাল সোমবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে মুচলেকা নিয়ে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন ছাত্রলীগের রাজশাহী কলেজ শাখার সভাপতি রাশিক দত্ত। তিনি বলেন, মীর ইশতিয়াক আহমেদ ওই বাসায় ঢুকেছিলেন তাঁর মামা কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুল হামিদ সরকারকে জেতানোর কৌশল করার জন্য। তাঁর সঙ্গে আরও দুজন লোক ছিলেন। তাঁদের একজনের হাতে টাকার ব্যাগ ছিল। ছাত্রলীগের নেতারা ভেতরে ঢোকার সময় তিনি টাকার ব্যাগ নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান।

এ ঘটনায় গতকাল সোমবার নির্বাচন কমিশন থেকে জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল হোসেনকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার দুপুরে আবুল হোসেন তাঁর নিজ কার্যালয়ে প্রথম আলোকে বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে তাঁর কাছে ঘটনার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। ওই দিনই (সোমবার) তিনি ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

ছাত্রলীগ নেতার অভিযোগ অস্বীকার করে আবুল হোসেন বলেন, মীর ইশতিয়াক একাই বাসায় এসেছিলেন। তাঁর সঙ্গে আর কাউকে তিনি দেখেননি। এ সময় বাইরের দরজা খোলা ছিল। চার-পাঁচজন লোক যখন ঢুকে পড়ে তখন ওই আওয়ামী লীগ নেতা বারান্দায় চলে গিয়েছিলেন।

মীর ইশতিয়াকের সঙ্গে কী কথা হয়েছিল, জানতে চাইলে জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, তিনি জানতে চেয়েছিলেন নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে কি না। তিনি তাঁকে জানিয়ে দিয়েছেন নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে। এ ছাড়া তাঁর সঙ্গে কোনো কথা হয়নি।
এ বিষয়ে রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।