বাস-মিনিবাসের পর ফরিদপুরে বিআরটিসির বাসও বন্ধ ঘোষণা

কাল ও পরশু দুই দিন ফরিদপুরে বেসরকারি পরিবহনের পাশাপাশি বিআরটিসির বাস চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

ফরিদপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশকে সামনে রেখে যাত্রীবাহী বাস ও মিনিবাসের পর বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফরিদপুর নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকার বিআরটিসির বাস কাউন্টার থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে আজ সকাল নয়টা থেকে জেলা বাস মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে শহরে মাইকিং করা হয়। ওই মাইকিং এ বলা হয়, ‘মহাসড়কে সব ধরনের অবৈধ ত্রি-হুইলার (নছিমন, করিমন, ভটভটি, মাহিন্দ্র, ব্যাটারিচালিত রিকশা, ইজিবাইক ও ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল) চলাচল বন্ধের দাবিতে কাল শুক্রবার সকাল ছয়টা থেকে শনিবার রাত আটটা পর্যন্ত ফরিদপুরের সব রুটে বাস ও মিনিবাস বন্ধ থাকবে।

ফরিদপুর বিআরটিসি বাস পরিবহনের সহকারী পরিচালক মোজাম্মেল হাসান সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, শুক্র ও শনিবার ফরিদপুর থেকে সব পথে বিআরটিসির বাস চলাচল বন্ধ থাকবে। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাস মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ মহাসড়কে সব ধরনের অবৈধ তিন চাকার যান চলাচল বন্ধের জন্য কাল সকাল ছয়টা থেকে ৩৮ ঘণ্টার ধর্মঘট ডেকেছে। তাঁরাও ওই দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে বাস বন্ধ করে দিয়েছেন। কাল ও পরশু তাঁদের কাউন্টার বন্ধ থাকবে।

মোজাম্মেল হাসান বলেন, ‘আমরা সরকারের কাছ থেকে বাস ইজারা নিয়ে চালাই। তাদের কথা শুনতে হয়। আবার বাসের সঙ্গে শ্রমিকেরা জড়িত, তাদের দাবিও উপেক্ষা করতে পারি না।’ এর আগে বাস মালিক ও শ্রমিকেরা বিআরটিসির বাস চলাচল বন্ধে ধর্মঘট করেছিল। এখন তাঁদের সঙ্গে ধর্মঘটে যাওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

ফরিদপুরে বিএনপির গণসমাবেশের সমন্বয়কারী কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেন, দুদিন বিআরটিসির বাস বন্ধ করে সরকার প্রমাণ করল, তারা যা চাইছে, সেভাবেই সব পরিচালিত হচ্ছে। এর একটাই উদ্দেশ্য, বিএনপির গণসমাবেশে বাধা দেওয়া। কিন্তু এতে বিএনপির গণসমাবেশে কোনো সমস্যা হবে না। কারণ, মানুষ বাধা পেলেই বেশি বের হয়। তবে সাধারণ যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হবে বলে তিনি মনে করেন।