গ্যাস সরবরাহের দাবিতে যমুনা সার কারখানায় শ্রমিক-কর্মচারীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন। আজ সোমবার দুপুরে জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে কারখানাটির প্রধান ফটকের সামনে
গ্যাস সরবরাহের দাবিতে যমুনা সার কারখানায় শ্রমিক-কর্মচারীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন। আজ সোমবার দুপুরে জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে কারখানাটির প্রধান ফটকের সামনে

যমুনা সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহের দাবিতে বিক্ষোভ–সমাবেশ

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে যমুনা সার কারখানায় (জেএফসিএল) গ্যাস সরবরাহের দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে কারখানাটির প্রধান ফটকের সামনে কারখানার শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের (সিবিএ) উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। গ্যাস–সংকটের কারণে গত ১৫ জানুয়ারি থেকে দেশের সবচেয়ে বড় ইউরিয়া সার কারখানাটি বন্ধ।

এ কর্মসূচিতে অংশ নেন সার কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীসহ এলাকার লোকজন। বক্তব্য দেন যমুনা সার কারখানার শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. রবিউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম।

বক্তারা বলেন, দেশের সর্ববৃহৎ সার কারখানা এটি। কারখানাটি বন্ধ থাকায় সবকিছু অচল হয়ে যাচ্ছে। কারখানার সব যন্ত্রপাতি বিকল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। দীর্ঘদিন কারখানাটি বন্ধ থাকলে যন্ত্রপাতি মেরামত ছাড়া কারখানা চালু করাও সম্ভব না–ও হতে পারে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে কারখানা চালু করা হোক। তা না হলে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।

কারখানা সূত্রে জানা যায়, কারখানার গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি গ্যাস বন্ধ করে দেয়। এতে ১৫ জানুয়ারি থেকে কারখানার উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। কারখানা বন্ধ থাকায় দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া শ্রমিকেরা কাজ হারিয়ে বিপাকে পড়েছেন।

যমুনা সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহের দাবিতে মানববন্ধন করেন সার কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীসহ এলাকার লোকজন। আজ সোমবার দুপুরে জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে কারখানাটির প্রধান ফটকের সামনে

কারখানার শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা হয়। তাঁরা বলেন, প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস ধরে কারখানা বন্ধ। গ্যাস সরবরাহ না থাকায় ইউরিয়া উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ। বর্তমানে কারখানাটি অলস পড়ে আছে। এতে একদিকে মূল্যবান যন্ত্রাংশগুলো নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে দৈনিক আয়ের ওপর নির্ভরশীল হাজার হাজার শ্রমিক কাজ হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। রেশনিং পদ্ধতিতে গ্যাস সরবরাহ করা হলেও কারখানার যন্ত্রাংশগুলো রক্ষা পাবে। শ্রমিক-কর্মচারীরাও খেয়েপড়ে বাঁচতে পারবেন।