সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক (বাঁয়ে) ও সাবেক এসপি চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক (বাঁয়ে) ও সাবেক এসপি চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির

সাতক্ষীরায় সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও সাবেক এসপির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

সাতক্ষীরার দেবহাটার আনারুল ইসলাম (৩২) নামের এক যুবককে হত্যার ঘটনায় এবার সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, সাবেক এসপি চৌধুরী মঞ্জুরুল কবিরসহ ৫৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি ৭ নম্বর আদালতে নিহত ব্যক্তির ভাই রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় এজাহার হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অন্যান্য আসামি হলেন সাবেক সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কাজী মনিরুজ্জামান, সহকারী পুলিশ সুপার (কালীগঞ্জ সার্কেল) মনিরুজ্জামান, দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারক বিশ্বাস, উপপরিদর্শক (এসআই) জিয়াউল হক, শেখ আলী আকবর, তপন কুমার সিংহ, ইউনুস আলী গাজী, তানভীর হাসান, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) এফ এম তারেক, মদন মোহন অধিকারী, কনস্টেবল দেবাশীষ অধিকারী, জাহাঙ্গীর হোসেন, গৌতম সাহা, আনোয়ার হোসেন, মো. আবদুল্লাহ, ইসমাইল হোসেন, মাহাফুজুল হক, আবু জাফর, শহিদুল ইসলাম, রেজাউল ইসলাম, ইব্রাহীম, শাহজাহান, এনামুল, আবুল হাসেম, হাদিসউদ্দিন, আবদুল মজিদ, দলিলউদ্দিন, নুর ইসলাম, শাহনেওয়াজ, মনজুরুল, মেহেদী, দেবহাটা গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম, মুজিবর রহমান, মোমিন গাজী, সাংবাড়িয়া গ্রামের মজিবর রহমান, কামিনী বসু গ্রামের নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, মাহমুদুল হক, ঘোনাপাড়া মো. সামছুর রহমান, মনতেজ, মো. হাবিবুল্লাহ গাজী, মোস্তফা বিশ্বাস, মাহমুদ গাজী, রমজান গাজী, ছুটিপুর গ্রামের আব্দুর রশিদ, নওয়াপাড়া গ্রামের মনিরুজ্জামান এবাদুল গাজী, সিদ্দিক গাজী, মাঝের আটি গ্রামের আকবর আলী, নাজমুস শাহাদাত, জারিফুল ইসলাম, সাতক্ষীরা শহরের কামালনগর গ্রামের কামরুল ইসলাম, দেবহাটার কোমরপুর গ্রামের আবু মুসা।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৪ সালের ১৪ জানুয়ারি দেবহাটার নাংলা গ্রামের আবদুল হান্নানের ছেলে আনারুল ইসলাম নিজস্ব  মাছের ঘেরে কাজ করছিলেন। এ সময় উল্লিখিত ব্যক্তিদের সহযোগিতায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে আনারুলকে পুলিশ আটকের চেষ্টা করে। এ সময় তিনি দৌড় দিলে পুলিশ তাঁকে গুলি করে হত্যা করে। এর পরও উল্লিখিত ব্যক্তিদের নির্দেশে মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত নির্যাতন করতে থাকেন। অথচ উল্টো মৃত আনারুলকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। সে সময় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ভিন্ন থাকায় মামলা করার সাহস পায়নি। তবে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর পরিস্থিতি অনুকূলে আসায় ন্যায়বিচার পাওয়ার দাবিতে মামলা রুজু করেছেন বলে বাদী রবিউল ইসলাম দাবি করেছেন।

এর আগে সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির ও সাবেক সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে আরও দুটি হত্যা মামলা সাতক্ষীরা সদর থানায় হয়েছে।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী এ টি এম বাসারাতুল্লাহ আওরাঙ্গী ও মো. হাফিজুর রহমান বলেন, বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় এজাহার হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দিয়েছেন।