সন্ত্রাসী হামলায় আহত যশোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শয্যায় ১২ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে আজ সোমবার দুপুরে তিনি মারা যান।
৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় যশোর শহরের বেজপাড়া সাদেক দারোগার মোড়ে নিজের বাড়ির পাশে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন তিনি। প্রথমে তাঁকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসকেরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় চাঁদাবাজি, হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ৮ নভেম্বর সন্ধ্যার পর আসাদুজ্জামান বেজপাড়া সাদেক দারোগার মোড়ে দোকানে ওষুধ কিনতে যান। ওষুধের দোকানে সামনে কয়েকজন অতর্কিত তাঁর ওপর হামলা করে বুকে ছুরি বসিয়ে দেয়। স্থানীয় বাসিন্দারা গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেন। সেখানকার চিকিৎসকেরা তাঁকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন। ঢাকায় নেওয়ার ১২ দিন পর তিনি মারা গেলেন।
মামলার এজাহারভুক্ত আসামি খাবরি হাসানকে দুই দিন আগে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ছুরিকাঘাতের ঘটনায় চারজনকে আসামি করে আসাদুজ্জামানের ভাই সাইদুর রহমান কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। মামলার এজাহারভুক্ত আসামি শহরের বেজপাড়া তালতলা এলাকার বাসিন্দা খাবরি হাসানকে দুই দিন আগে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আসাদুজ্জামানের ভাই সাইদুর রহমান বলেন, ‘স্থানীয় খাবরি হাসানের নেতৃত্বে চারজন আমার ভাই আসাদুজ্জামানের ওপর হামলা করে বুকে ছুরি মারে। কিছুদিন আগে আমাকেও সে ছুরি মেরেছিল। উঠতি সন্ত্রাসীরা তার নেতৃত্বে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করছে। তাদের এসব কাজে বাধা দেওয়ায় তারা বারবার আমাদের ওপর হামলা করছে।’
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাতে পাহারা দেওয়ার জন্য বেজপাড়া এলাকায় শান্তি কমিটি রয়েছে। ওই কমিটির নেতৃত্ব ও কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমে প্রভাব বিস্তার নিয়ে আসাদুজ্জামান ও হাসান দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে।