রংপুর সিটি করপোরেশনের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাকারিয়া আলমকে তাঁর পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। গতকাল সোমবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামের স্বাক্ষর করা এক প্রজ্ঞাপনে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তবে আজ মঙ্গলবার বিষয়টি জানাজানি হয়।
জাকারিয়া আলম মেট্রোপলিটন তাজহাট থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি জমি দখল–সংক্রান্ত একটি মামলায় জাকারিয়া আলমকে ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং তা অনাদায়ে আর ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।
প্রজ্ঞাপনের আদেশে বলা হয়েছে, রংপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হওয়া একটি মামলায় কাউন্সিলর জাকারিয়া আলমকে ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আর ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তাই স্থানীয় সরকার আইন ২০০৯–এর ধারা–১২–এর উপধারা (১) অনুযায়ী জাকারিয়া আলমকে তাঁর পদ (কাউন্সিলর) থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এর আগে গত ৭ এপ্রিল রাত সাড়ে নয়টার দিকে রংপুর নগরের বিনোদপুর রেলক্রসিং এলাকার বাড়ি থেকে কাউন্সিলর জাকারিয়া আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়। জাকারিয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমি দখল–সংক্রান্ত মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত এবং চারটি মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি। পরদিন ৮ এপ্রিল দুপুরে কাউন্সিলর জাকারিয়াকে আদালতে নেওয়া হলে আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। তবে আদালতের বিচারক আহসানুল হক তিনটি মামলায় তাঁর জামিন মঞ্জুর করলেও একটি মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল যমুনা টেলিভিশনের অপরাধ অনুসন্ধানমূলক একটি অনুষ্ঠানে জাকারিয়া আলম ও তাঁর বাহিনীর জমি দখলসহ বিভিন্ন অপকর্ম নিয়ে প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। এ ঘটনায় সংক্ষুব্ধ হয়ে কাউন্সিলর জাকারিয়া ৫ এপ্রিল রংপুরের সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যমুনা টেলিভিশনের সাংবাদিক মাজহারুল মান্নানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এর পরদিন রংপুরের সাংবাদিকসমাজ মানববন্ধন করে মামলা প্রত্যাহার ও কাউন্সিলরকে গ্রেপ্তারের দাবি জানায়।