গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি খলিলুর রহমান গ্রেপ্তার

সিলেটে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নাশকতার পৃথক দুটি মামলায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি খলিলুর রহমান ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়াকে (মাসুক) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। আজ রোববার সকালে র‍্যাব থেকে পাঠানো আলাদা দুটি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর মধ্যে ছাত্রলীগ নেতা খলিলুরকে গতকাল শনিবার দুপুরে ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গোলাম কিবরিয়াকে গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে সিলেট নগরের কোতোয়ালি থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

খলিলুর রহমান নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার গন্ডা ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের মো. আবদুল আউয়ালের ছেলে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ছিলেন। গত ২১ মার্চ শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পান খলিলুর। এর আগে শাখা ছাত্রলীগের পরিবেশবিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ১৮ জুলাই নিহত বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড পলিমার সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী রুদ্র সেন হত্যা মামলায় ৩২ নম্বর আসামি খলিলুর রহমান। বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থানকালে তাঁর বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসের লেক থেকে মাছ চুরি, আবাসিক হলের সিট দখল, শিক্ষার্থী নির্যাতনসহ নানা অভিযোগ আছে।

গত ১৪ জুলাই রাতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এতে শাখা ছাত্রলীগের খলিলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক সজীবুর রহমানও ছিলেন। পরে ১৭ জুলাই শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ক্যাম্পাস থেকে পালিয়ে যান তাঁরা। পরে খলিলুর, সজীবুরসহ শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ১৫ থেকে ২০ জন নেতা-কর্মী সিলেট মহানগরের ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে থেকে বিভিন্ন হামলায় যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ আছে।

এর আগে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে নরসিংদীর রায়পুরা এলাকা থেকে নাশকতার মামলায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজীবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গোলাম কিবরিয়াকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে র‍্যাব-৯–এর সহকারী পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) মো. মশিহুর রহমান সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, গোলাম কিবরিয়ার বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা আছে। তাঁকে সংশ্লিষ্ট থানায় প্রেরণ করার প্রস্তুতি চলছে। এই মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।