বজ্রপাতে মা–ছেলের মৃত্যুতে স্বজনদের আহাজারি। শনিবার নরসিংদী সদর হাসপাতালে
বজ্রপাতে মা–ছেলের মৃত্যুতে স্বজনদের আহাজারি। শনিবার নরসিংদী সদর হাসপাতালে

নরসিংদীতে বজ্রপাতের পৃথক ঘটনায় মা-ছেলেসহ ৪ জনের মৃত্যু

নরসিংদী সদর উপজেলায় বজ্রপাতের পৃথক ঘটনায় মা–ছেলেসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার চরাঞ্চল আলোকবালী ইউনিয়নের মধ্যপাড়া গ্রামে মা–ছেলেসহ তিনজন এবং হাজীপুর এলাকায় এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়।

মধ্যপাড়া গ্রামে মৃত তিনজন হলেন কামাল মিয়ার স্ত্রী শরিফা বেগম (৪৮), তাঁর ছেলে ইমন মিয়া (১২) ও রায়পুরার চর আড়ালিয়া ইউনিয়নের বাঘাইকান্দি গ্রামের হাতেম মিয়ার ছেলে কাইয়ুম মিয়া (২৫)। আরেকজন হলেন সদর উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের বেঙ্গল এলাকার একটি টেক্সটাইল মিলের শ্রমিক মোসলেম মিয়া (৪০)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কৃষক কামাল মিয়া মধ্যপাড়া গ্রামে জমিতে কাজ করছিলেন। তাঁর কাছে দুপুরের খাবার নিয়ে যান স্ত্রী শরিফা বেগম ও ছেলে ইমন মিয়া। আর নানাবাড়িতে বেড়াতে এসে কাইয়ুম মিয়া তাঁর মামাকে ধান কাটতে সাহায্য করছিলেন। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাতে শরিফা, ইমন ও কাইয়ুম আহত হন। তিনজনকে উদ্ধার করে দ্রুত নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।

নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মাহমুদুল কবির বাসার বলেন, বজ্রপাতের শিকার তিনজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়।

এদিকে সদর উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোমেন মিয়া বলেন, বেঙ্গল এলাকার একটি টেক্সটাইল মিলে বজ্রপাতে মোসলেম মিয়া নামের এক টেক্সটাইলশ্রমিক নিহত হয়েছেন। মিলের আঙিনায় কাজ করার সময় বজ্রপাতে তিনি মারা যান। তাঁর বাড়ি হাজীপুর ইউনিয়নের চরহাজীপুর গ্রামের খাগেরচর এলাকায়।

নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ বলেন, বজ্রপাতে আলোকবালীতে তিনজন ও হাজীপুরে একজনের মৃত্যু হয়েছে। স্বজনদের কাছে লাশ তিনটি হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।