নরসিংদীর রায়পুরার আমিরগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় ভাঙচুর করা একটি বাড়ি
নরসিংদীর রায়পুরার আমিরগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় ভাঙচুর করা একটি বাড়ি

রায়পুরায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ, গুলিবর্ষণ ও ভাঙচুর

নরসিংদীর রায়পুরার আমিরগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণ, গুলিবর্ষণ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রতিপক্ষের ছোড়া গুলি ও টেঁটাবিদ্ধ হয়ে অন্তত চারজন আহত হয়েছেন। আজ রোববার ভোরে আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের নলবাটা এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তিরা হলেন নলবাটা এলাকার নাছির উদ্দিন (৬৫), সালমান মিয়া (১১), আলী হোসেন (৬৫) ও শফিকুল ইসলাম (৫০)। তাঁদের মধ্যে সালমান গুলিবিদ্ধ, নাছির ও আলী হোসেন টেঁটাবিদ্ধ এবং শফিকুলকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে।

স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তার ও বালুর ব্যবসাকে কেন্দ্র করে আমিরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য বেনজির আহমেদ ও রফিকুল ইসলামের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রফিকুল গত নির্বাচনে ইউপি সদস্য প্রার্থী ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে এই দুজনের মধ্য বিরোধ চলে আসছিল। তিন মাস আগে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। এর পর থেকে রফিকুল ইসলামের সমর্থকেরা এলাকাছাড়া ছিলেন। আজ ভোরে তাঁরা এলাকায় ফিরছিলেন।

আজ ভোর পাঁচটার দিকে রফিকুল ইসলামের সমর্থকেরা এলাকায় প্রবেশ করার সময় ইউপি সদস্য বেনজির আহমেদের সমর্থকেরা প্রতিহত করতে এগিয়ে যান। এ সময় দুই পক্ষের সমর্থকেরা একের পর এক ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান। একপর্যায়ে তাঁরা আগ্নেয়াস্ত্র ও টেঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় তাঁদের ছোড়া গুলি ও টেঁটায় উভয় পক্ষের তিনজন বিদ্ধ হন। এ ছাড়া একজনকে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে উভয় পক্ষের লোকজন প্রতিপক্ষের অন্তত চারটি বাড়িঘর ভাঙচুর করেন। আহত চারজনকে দ্রুত উদ্ধার করে নরসিংদী শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়।

নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মাহমুদুল কবির বাসার জানান, আলী নামের একজনকে গলায় ও হাঁটুতে টেঁটাবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সংঘর্ষের বিষয়ে বেনজির আহমেদ ও রফিকুল ইসলামের ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাফায়াত হোসেন বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়েছে। খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। দুই পক্ষের লোকজন এলাকা ছেড়েছেন। সহিংসতা এড়াতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো পক্ষের অভিযোগ পাননি জানান তিনি।