টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলায় শ্বশুরবাড়ির সম্পত্তির জন্য এক ব্যক্তি নিজের স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে উপজেলার ডুবাইল ইউনিয়নের কোপাখী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই নারীর নাম সুমিতা (৩৮)। তিনি মির্জাপুর উপজেলার পাকুল্যা গ্রামের মৃত সমেজ উদ্দিনের মেয়ে। এ ঘটনায় নিহত সুমিতার স্বামী মিনজু মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মিনজু মিয়া শ্বশুরবাড়ির ওয়ারিশ সম্পত্তি এনে দেওয়ার জন্য স্ত্রী সুমিতাকে চাপ দিচ্ছিলেন। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। এর জেরে কয়েক দিন আগে স্ত্রীকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন স্বামী মিনজু মিয়া। পরে সুমিতা মির্জাপুর উপজেলার মহেড়া গ্রামে বোনের বাড়িতে আশ্রয় নেন। গতকাল ভগ্নিপতির মাধ্যমে মুঠোফোনে স্ত্রীকে বাড়িতে ফিরতে বলেন মিনজু। সুমিতা তাঁর বোন ববিতা ও মা হালিমাকে সঙ্গে নিয়ে গতকাল স্বামীর বাড়িতে যান। গতকাল দিবাগত রাত দুইটার দিকে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে মিনজু মিয়া গাছ কাটায় ব্যবহৃত রডের তৈরি ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রী সুমিতাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। এতে ঘটনাস্থলে তাঁর মৃত্যু হয়। পরে আশপাশের লোকজন মিনজুকে আটক করেন।
সুমিতার মা হালিমা বেগম জানান, মেয়েকে তাঁর সামনেই কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মেয়ের চিৎকারে কেউ এগিয়ে আসেনি। ওয়ারিশের সামান্য কিছু টাকার জন্য মিনজু মিয়া তাঁর মেয়েকে হত্যা করেছেন।
দেলদুয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছির উদ্দিন মৃধা বলেন, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘাতক স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।