বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাবে আজ শুক্রবার সকাল থেকে বরগুনায় দমকা ও ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। সাগর উত্তাল থাকলেও বরগুনায় মাছ ধরার বেশির ভাগ ট্রলার এখনো তীরে ফেরেনি। এর মধ্যে ২০টির বেশি ট্রলারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে না মালিক সমিতি।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’তে রূপ নিয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত জারি করেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। উপকূলীয় বেশ কয়েকটি জেলায় স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে তিন থেকে পাঁচ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।
বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতি জানায়, জেলায় প্রায় দেড় হাজার ট্রলার সাগর মোহনায় ও গভীর সাগরে মাছ শিকার করে। প্রায় সব ট্রলার নিয়েই সাগরে মাছ শিকারে গেছেন জেলেরা। ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কসংকেতের পরও এসব ট্রলার তীরে ফেরেনি।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব মোকাবিলায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় প্রস্তুতিমূলক সভা করেছে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের সুবর্ণজয়ন্তী সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহা. রফিকুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, গভীর সাগরে মাছ ধরার সব ট্রলারকে তীরে ফিরিয়ে আনার জন্য জেলে নেতাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সতর্কসংকেতকে জেলেরা তেমন গুরুত্ব দিচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তফা চৌধুরী। তিনি আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, সাগর তেমন উত্তাল না থাকার কারণে জেলেরা তীরে ফিরছেন না। এর মধ্যে ২০টির বেশি ট্রলারের সঙ্গে তাঁরা কোনো যোগাযোগ করতে পারছেন না।
মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে পাথরঘাটা উপজেলার ২০টি মাছ ধরার ট্রলারসহ ৩০০ জেলে নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজের ঘটনায় জেলে পল্লিতে উদ্বেগ বিরাজ করছে। তাঁদের সন্ধানের চেষ্টা চলছে। একটি ট্রলার ডুবে গেছে। তবে জেলেদের অন্য ট্রলারে উদ্ধার করে পাথরঘাটায় নিয়ে আসা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ২০টি ট্রলারসহ জেলে নিখোঁজের বিষয়টি জেনেছেন। তাঁদের সন্ধানে কোস্টগার্ড, স্থানীয় প্রশাসন ও মৎস্য সমিতিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।