সিলেটে চিনি লুটকাণ্ডে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের বিয়ানীবাজারে ট্রাকচালককে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ট্রাকভর্তি চিনি লুটের মামলায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার জাহিদুল হক (২৬) সদ্য বিলুপ্ত বিয়ানীবাজার উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

চিনি লুটের ঘটনার অভিযোগ ওঠার পর গত শুক্রবার উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি। আজ রোববার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে জাহিদুল হককে বিয়ানীবাজার পৌরসভার নিদনপুর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

উপজেলা ছাত্রলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদককে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবদুলাল ধর বলেন, চিনি লুটের ঘটনায় করা মামলায় জাহিদুল হকের নাম উল্লেখ না থাকলেও ঘটনার পর তাঁর ছবি এবং ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফাঁস হয়। ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার দায়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ওসি দেবদুলাল ধর আরও বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে রোববার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হবে।

৮ জুন সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের বিয়ানীবাজার অংশের চারখাই এলাকা থেকে বদরুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ীর ৪০০ বস্তা চিনিবোঝাই ট্রাক লুটের অভিযোগ ওঠে। ওই সময় চিনি বহনকারী ট্রাকচালককে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে লুট করা হয় বলে জানা গিয়েছিল। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা জড়িত রয়েছেন, এমন অভিযোগ করেছিলেন তিনি। পরে ১০ জুন ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করে বিয়ানীবাজার থানায় মামলা করেন ব্যবসায়ী।

মামলা করার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করে ৮০ বস্তা চিনি উদ্ধার করে। এ ঘটনার জেরে গত শুক্রবার বিকেলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ বিয়ানীবাজার উপজেলা ও পৌরসভার কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণা করেন। এর আগে গত ১১ মার্চ বিয়ানীবাজার উপজেলা, পৌরসভা ও বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের কমিটি গঠন করেছিল সিলেট জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। কমিটি গঠনের তিন মাসের মধ্যে চোরাই চিনি ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে উপজেলা ও পৌরসভা কমিটি বিলুপ্তি করা হয়েছে।