বগুড়া জেলা বিএনপি

আহ্বায়ক পদ থেকে পদত্যাগের পর সভাপতি প্রার্থী হলেন রেজাউল করিম

বিএনপির লোগো
বিএনপির লোগো

বগুড়া জেলা বিএনপির সম্মেলনের আগে হঠাৎ করে পৌর মেয়র রেজাউল করিম ওরফে বাদশা আহ্বায়কের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। একই কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ফজলুল বারী তালুকদারও পদত্যাগ করেছেন। তাঁরা দুজনই জেলা বিএনপির সভাপতি পদে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

রোববার রাতে এই দুই নেতা পদত্যাগ করেন। এরপর কমিটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক এ কে এম সাইফুল ইসলামকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক করা হয়। সদস্যসচিব করা হয়েছে কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও বগুড়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেনকে।

আজ সোমবার রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে কমিটি পুনর্গঠনের বিষয়টি জানানো হয়।

জেলা বিএনপি সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৫ মে গোলাম মো. সিরাজকে (বর্তমানে বগুড়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য) আহ্বায়ক করে ৩১ সদস্যবিশিষ্ট জেলা বিএনপির কমিটি ঘোষণা করা হয়। ওই সময় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষণা দেন তৃণমূল পুনর্গঠনের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত এই কমিটির আহ্বায়ক জেলা বিএনপির সম্মেলনে সভাপতি পদে প্রার্থী হতে পারবেন না। ওই আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পদে ছিলেন রেজাউল করিম।

গত বছরের ১৩ নভেম্বর গোলাম মো. সিরাজকে সরিয়ে বগুড়া পৌরসভার বর্তমান মেয়র রেজাউল করিমকে আহ্বায়ক করা হয়। এরপর তাঁর নেতৃত্বে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পৌরসভা ও উপজেলা কমিটি গঠন শেষে ২ নভেম্বর জেলা বিএনপির সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা দেওয়া হয়।

জেলা বিএনপির একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, রেজাউল করিম ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পৌর ও উপজেলা কমিটিতে পছন্দের লোকজন বসিয়েছেন। এর মাধ্যমে কাউন্সিলর তালিকা তৈরি শেষে নিজেই সভাপতি প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি প্রার্থী হলে সম্মেলনে নেতৃত্ব নির্বাচনে নিরপেক্ষতা থাকবে না। কারণ, কাউন্সিলরদের তালিকা তাঁর হাতে তৈরি।

অভিযোগের বিষয়ে রেজাউল করিম ওরফে বাদশা প্রথম আলোকে বলেন, অত্যন্ত স্বচ্ছতার মাধ্যমে সাংগঠনিক ইউনিটের সম্মেলন শেষ হয়েছে। কাউন্সিলর তালিকা তৈরিতে কোথাও কোনো অনিয়ম হয়নি। যাঁরা এসব অভিযোগ করছেন তাঁরা দল থেকে বহিষ্কৃত নেতা।

এদিকে আজ রাত নয়টা পর্যন্ত ছিল জেলা বিএনপির সম্মেলনে মনোনয়নপত্র উত্তোলনের শেষ সময়। নির্ধারিত সময়ে সভাপতি পদে তিনজন মনোনয়নপত্র তুলেছেন। তাঁরা হলেন রেজাউল করিম ওরফে বাদশা, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম এবং জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ফজলুল বারী তালুকদার ওরফে বেলাল।

সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়ন তুলেছেন বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলী আজগর তালুকদার ওরফে হেনা এবং সাবেক ছাত্রদল নেতা এম আর ইসলাম ওরফে স্বাধীন।

এ ছাড়া সাংগঠনিক পদে মনোনয়ন তুলেছেন মোশারফ হোসেন, আবদুল আজিজ ওরফে হীরা, শেখ তাহাউদ্দিন ওরফে নাহিন, বগুড়া শহর জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক থেকে স্বেচ্ছাসেবক দলে যোগ দেওয়া মাজেদুর রহমান ওরফে জুয়েল, গাবতলী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম ওরফে হেলাল, সরকারি আজিজুল হক কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক নেতা এ কে এম খায়রুল বাশার, মিজানুর রহমান ওরফে রাজা, সোলায়মান আলী, আলী হায়দার ওরফে তোতা এবং মো. শহিদুল ইসলাম।