সীতাকুণ্ড বিস্ফোরণ: সীমা অক্সিজেন কারখানার এক মালিক গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন লিমিটেড কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় তিনজন মালিকের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের দেওয়ানহাট এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার পারভেজ উদ্দিন ওরফে সান্টু সীমা অক্সিজেন কারখানার পরিচালক পদে রয়েছেন। এ বিষয়ে রাত ১০টার দিকে ওই ঘটনায় করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শিল্প পুলিশের পরিদর্শক শামসুদ্দিন বলেন, সন্ধ্যা ৭টার দিকে পারভেজ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁরা মামলার প্রধান আসামি সীমা অক্সিজেন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মামুন উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছিলেন।

তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে জানতে পেরেছিলেন, মামুন উদ্দিন সীতাকুণ্ডের বাড়িতে রয়েছেন। তাঁর বাড়ি ঘেরাও করে অভিযান চালিয়েছেন। কিন্তু মামুন উদ্দিনকে পাননি। তবে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

৪ মার্চ বিকেলে উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুর এলাকায় সীমা অক্সিজেন লিমিটেড নামে অক্সিজেন তৈরির কারখানায় বিস্ফোরণে নিহত হন সাতজন। আহত হন অন্তত ২৫ জন। ঘটনার এক দিন পর ৬ মার্চ ওই কারখানার তিন মালিকসহ ১৬ জনকে আসামি করে কর্তব্য অবহেলার অভিযোগ এনে একটি মামলা করা হয়। মামলাটির বাদী বিস্ফোরণে নিহত আবদুল কাদেরের স্ত্রী রোকেয়া বেগম।
মামলায় সীমা অক্সিজেন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মামুন উদ্দিন, তাঁর দুই ভাই কারখানার পরিচালক পারভেজ উদ্দিন ও আশরাফ উদ্দিন ওরফে বাপ্পিকে আসামি করা হয়। আসামিদের মধ্যে আরও রয়েছেন কারখানার ব্যবস্থাপক আবদুল আলিম, প্ল্যান্ট ইনচার্জ সামসুজ্জামান সিকদার প্রমুখ।

ঘটনার পর চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আট সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি মঙ্গলবার প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকের কাছে হস্তান্তর করেছে। সেখানে নয়টি সুপারিশ করে তদন্ত কমিটি।

এদিকে প্রথমে মামলার তদন্ত করে সীতাকুণ্ড থানা-পুলিশ। পরে তদন্তের দায়িত্ব পায় শিল্প পুলিশ। সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ বলেন, মামলাটি শিল্প পুলিশ তদন্ত করার ইচ্ছা পোষণ করে পুলিশ সদর দপ্তরে আবেদন করেছিল। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পাওয়ার পর সোমবার মামলার তদন্তভার শিল্প পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।