সাজেকের মনোলোভা প্রকৃতি। বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের রুইলুই হেলিপ্যাড এলাকা থেকে
সাজেকের মনোলোভা প্রকৃতি। বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের রুইলুই হেলিপ্যাড এলাকা থেকে

সাজেকে আগাম বুকিং না দিয়ে গেলে পাবেন না কক্ষ

পর্যটন মৌসুমের শুরুতেই রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের পর্যটনকেন্দ্র রুইলুই ভ্যালিতে পর্যটকদের আগমন বেড়েছে। আজ শুক্রবার সব রিসোর্ট-কটেজের কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে গেছে। যাঁরা বুকিং না নিয়ে সাজেকে বেড়াতে আসবেন, তাঁরা কক্ষ পাবেন না বলে সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সূত্রে জানা গেছে।

রিসোর্ট-কটেজ মালিক সূত্র জানায়, ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে সাজেকে পর্যটকেরা আসা শুরু করেন। গত এক সপ্তাহ থেকে রিসোর্ট-কটেজের কক্ষগুলো আগাম বুকিং হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস ছুটিতে সব কক্ষ ভাড়া হয়ে যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার সব কক্ষ ভাড়া হয়ে যায়। বুকিং না দিয়ে আসলে স্থানীয় লোকজনের বাড়িঘরে, স্টোররুম ও গাড়িতে রাত কাটাতে হবে। অন্যথায় খাগড়াছড়ি ফিরে যেতে হবে। কক্ষ না পেয়ে ইতিমধ্যে অনেক পর্যটক ফিরে গেছেন।

সাজেক হিল ভিউ রিসোর্টের মালিক ইন্দ্রজিৎ চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার রিসোর্টে ১০টি কক্ষ রয়েছে। তিন দিন আগে সব কক্ষ ভাড়া হয়ে যায়। অনেক পর্যটক মুঠোফোনে কক্ষ বুকিং দেওয়া চেষ্টা করছেন। কিন্তু আমি তাঁদের কক্ষ দিতে পারছি না।’

সাজেক রুইলুই পর্যটনকেন্দ্রের রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ণ দেব বর্মণ বলেন, ‘আজ আমাদের ১১৫টি রিসোর্ট-কটেজে কোনো কক্ষ খালি নেই। এক সপ্তাহ আগে থেকে আগাম বুকিং নেওয়া হচ্ছে। গতকাল জানতে পারলাম কোনো কক্ষ আর খালি নেই। ডিসেম্বর মাসের শুরুতেই পর্যটকদের ভিড় বেড়েছে। গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস ছুটিতে কক্ষ না পেয়ে অনেক মানুষ ফিরে গেছেন।’