কুষ্টিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যাওয়া একই পরিবারের তিনজনের লাশ। আজ বুধবার বিকেল পাঁচটার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে
কুষ্টিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যাওয়া একই পরিবারের তিনজনের লাশ। আজ বুধবার বিকেল পাঁচটার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে

কুষ্টিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল মা–বাবা ও মেয়ের

কুষ্টিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মা–বাবা ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে শহরের হাউজিং বি ব্লক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন মৃত শামসুল হকের ছেলে আবদুস সালাম (৪৫), তাঁর স্ত্রী রুপা খাতুন (৩৫) ও মেয়ে সাবা খাতুন (১৩)। এ ঘটনায় সালামের ভাতিজা সিয়াম (১৩) গুরুতর আহত হয়েছে। তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ, হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিকেলের দিকে কুষ্টিয়ায় মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে হাউজিং বি ব্লকের বাসিন্দা রুপা খাতুন নিজের ঘরে ঝাড়ু দিচ্ছিলেন। এ সময় ঘরের ভেতর ঝুলে থাকা বিদ্যুতের তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে যান সালাম। তখন সালামও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়েন। মা–বাবাকে মেঝেতে পড়ে যেতে দেখে মেয়ে সাবা গিয়ে তাঁদের শরীরে হাত দেয়। এ সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সেও মারা যায়।

ঘটনাস্থলের পাশে থাকা সিয়াম দৌড়ে গিয়ে সাবার শরীরে হাত দিলে সে ছিটকে পড়ে যায়। প্রতিবেশীরা বিষয়টি জানতে পেরে তাঁদের দ্রুত উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেন।

হাসপাতালে নিয়ে আসা প্রতিবেশী রাজিব আহমেদ বলেন, বিকেলে সালামের বাড়িতে গিয়ে দেখতে পান বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে চারজন মেঝেতে পড়ে রয়েছেন। সে সময় স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন। চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত সালামের চাচাতো ভাই সাইদুল ইসলাম জানান, সালামের শহরের জেলখানা মোড়ে দোকান রয়েছে। দুপুরে খাবার খাওয়ার জন্য বাড়িতে গিয়েছিলেন। ওই সময় ঘরের ভেতর পরিবারের সবাই অবস্থান করছিলেন। এক দিন আগেই বাড়িতে ইলেকট্রিকের কাজ করিয়েছিলেন বলে জানতে পেরেছেন। হয়তো কোথাও লিকেজ থেকে বৃষ্টির মধ্যে বিদ্যুতায়িত হয়েছেন।


কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক সজীব উদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট চারজনকে হাসপাতালে আনা হয়। তাঁদের মধ্যে তিনজনই মৃত অবস্থায় এসেছেন। এক শিশুর শরীরে বিদ্যুতে পোড়ার দাগ রয়েছে। তাকে ভর্তি করা হয়েছে। তবে আপাতত ওই শিশু শঙ্কামুক্ত।

কুষ্টিয় মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিনজন মারা গেছেন। লাশ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।