কক্সবাজারের মহেশখালীতে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর প্রকল্প পরিদর্শনে উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। আজ দুপুরে
কক্সবাজারের মহেশখালীতে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর প্রকল্প পরিদর্শনে উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। আজ দুপুরে

মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরে ২০৩০ সাল থেকে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল শুরু হবে

নৌপরিবহন এবং পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ২০২৯ সালের মধ্যে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের দ্বিতীয় পর্বের কাজ শেষ হবে। ২০৩০ সাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে পণ্যবাহী জাহাজ (মাদার ভেসেল) চলাচল শুরু করবে।

আজ সোমবার বিকেলে কক্সবাজার শহরের একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। এর আগে দুপুরে তিনি কক্সবাজারের সাগরদ্বীপ মহেশখালীর মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শন শেষে মাতারবাড়ী কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির প্রশাসনিক ভবনে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করেন। সভায় জাইকার প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন ও কোল পাওয়ারের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্পের বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরেন প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আতাউল হক।

সভায় উপস্থিত ছিলেন জাইকার প্রধান পরিচালক সেইজি সাতো, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান, উপদেষ্টার একান্ত সচিব মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক, কমোডর ফজলে রহমান, মহেশখালীর ইউএনও মীকি মারমা, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আতাউল হক ও জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ এম এম রকীব উর রাজা।

উপদেষ্টা যথাসময়ে কাজ সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন। বিকেলে কক্সবাজার শহরে ফিরে এসে ব্রিফিং করেন।

এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ইতিমধ্যে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের প্রথম ধাপের কাজ শেষ হয়েছে। ২০২৯ সালের মধ্যে দ্বিতীয় পর্বের কাজ শেষ হবে। এরপর ২০৩০ সাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে মাদার ভেসেল আসা-যাওয়া করতে পারবে। এখন পণ্যবাহী জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়তে সমস্যা হয়।

বিফ্রিং এর আগে কক্সবাজার শহরে নির্মিতব্য লাইট হাউস প্রকল্প পরিদর্শন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা।