ঢাকার দোহার ও নবাবগঞ্জের খ্রিষ্টানপল্লির ১৮ গ্রামে চলছে উৎসবের আমেজ। ওই সব বাড়িতে বাড়িতে কীর্তন গেয়ে ও নেচে বড়দিনের উৎসব পালন করা হচ্ছে। বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।
আজ সোমবার সকালে বড় গোল্লা, ছোট গোল্লা, দেওতলা ও হাসনাবাদ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টানপল্লির যুবক, তরুণ-তরুণী, শিশু ও কিশোরেরা ঢোল ও বাঁশির সুরে কীর্তন গেয়ে গেয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাঁরা রংবেরঙের পোশাক পরেছে; সান্তা ক্লজ টুপি পরে উৎসব করছে। এ ছাড়া বাড়িতে বাড়িতে চলছে অতিথিদের কেক ও পিঠাপুলি দিয়ে আপ্যায়ন করাসহ বিভিন্ন আয়োজন।
দেওতলা এলাকার অ্যান্থনি গোমেজ বলেন, ‘বড়দিন উপলক্ষে গত রোববার সন্ধ্যা থেকে আমাদের উৎসব শুরু হয়েছে। পহেলা জানুয়ারি পর্যন্ত এটি চলবে। এ বছর বড়দিন উদযাপন করতে ইতালি থেকে আত্মীয়স্বজনেরা এসেছেন। তাঁদের নিয়ে আজ সকালে বড় গোল্লা এলাকায় সাধু ফ্রান্সিস জেভিয়ার্স গির্জায় প্রার্থনায় অংশ নিয়েছি। আমাদের দেশের জন্য শান্তি কামনা করেছি।’
পাদ্রিকান্দা এলাকার শিশু অ্যাঞ্জলি গোমেজ বলে, ‘আমরা সকালে মা–বাবার সঙ্গে বড় গোল্লায় গির্জায় গিয়েছি। সেখানে প্রার্থনা করেছি। বাড়িতে ফেরার পথে গির্জার সামনে মেলা থেকে পুতুল ও খাবার কিনেছি।’ হাসনাবাদ এলাকার গৃহবধূ জুলিয়েট গোমেজ বলেন, ‘আমাদের বাড়িটি জপমালা রানি গির্জার পাশে। তাই প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনদের চাপ বেশি থাকে। সকালে প্রার্থনা শেষে আত্মীয়স্বজনেরা বাসায় এসেছেন। তাঁদের পিঠাপুলি ও কেক দিয়ে অ্যাপায়ন করেছি।’
ঢাকা জেলার জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (দোহার সার্কেল) আশরাফুল আলম জানান, বড়দিনের উৎসব উপলক্ষে গির্জা, খ্রিষ্টানপল্লি ও তাঁর আশপাশের এলাকায় সর্বাত্মক নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এসব এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক দল সার্বক্ষণিক টহল দিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে জপমালা রানি গির্জা ও সাধু ফ্রান্সিস জেভিয়ার্স গির্জায় দুটি কেক উপহার দেওয়া হয়েছে। পবিত্র জপমালা রানি গির্জায় আমরা কেক কেটে সবার সঙ্গে বড়দিন উৎসব উদযাপন করেছি।’