ঈদযাত্রায় ৭ আগস্ট থেকে বিশেষ সেবা দেবে লঞ্চগুলো। এর মধ্যেই দক্ষিণাঞ্চলের নদীপথের ৪৩টি রুটের লঞ্চের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কেবিনের অগ্রিম বুকিং শেষ। লঞ্চমালিকেরা বলছেন, কিছু নিয়মিত যাত্রী এবং কিছু ‘ভিআইপি’ আগে থেকেই কেবিন বুকিং দেওয়ায় এ অবস্থা তৈরি হয়।
এদিকে টিকিটের জন্যে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে হন্যে হয়ে ঘুরছেন অনেকেই। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কচুক্ষেত এলাকা থেকে আসা পোশাক ব্যবসায়ী ইমতিয়াজ হোসেন জানান, ৮ আগস্ট বরিশাল যাবেন। টিকিটের জন্য পারাবত নামের একটি লঞ্চে গেলে কর্মচারী হেলালউদ্দিন জানিয়ে দিয়েছেন, ৫ আগস্ট থেকে লঞ্চের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কোনো কেবিন খালি নেই। বরিশাল রুটের মাস্টাররুম আছে, ভাড়া লাগবে তিন হাজার টাকা।
মোহাম্মদপুর থেকে আসা মতিউর রহমান বলেন, তিনি ভোলা যাওয়ার জন্য কেবিনের টিকিট খুঁজতে এসেছেন। কিন্তু কেবিনগুলো মালিকপক্ষ গত মাসেই বুকিং দিয়ে দিয়েছে। তাই নিরাশ হয়ে ফিরতে হচ্ছে।
অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল (যাপ) সংস্থার ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম আহ্বায়ক ও অভিযান লঞ্চের মালিক হামজা লাল বলেন, ঈদ উপলক্ষে নদীপথে যাত্রী ১০ গুণ বেড়ে যায়। যাঁরা নিয়মিত নদীপথে যাতায়াত করেন, তাঁরা আগে থেকেই বুকিং নিয়ে নেন। তা ছাড়া সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের জন্য কিছু কেবিন আগেই বুকিং দেওয়া থাকে। তাই লঞ্চের কেবিনের টিকিটের সংকট দেখা দেয়।
লঞ্চমালিকেরা বলছেন, রাজনৈতিক নেতা, প্রশাসন, পুলিশ ও অন্যান্য সরকারি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জন্য কেবিনের কিছু টিকিট হাতে রাখতে হয়। কিছু নিয়মিত যাত্রীও এ ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা পান।