‘বন্ধু, এত দিন কোথায় ছিলি? কেমন আছিস? ছেলেমেয়েরা কেমন আছে?’ দীর্ঘ পাঁচ বছর পর দেখা পেয়ে এসব প্রশ্ন করলেন শেরপুরের প্রবীণ সাংবাদিক ও কবি তালাত মাহমুদ তাঁর বাল্যবন্ধু আবদুর রশীদকে। রশীদ সোনালী ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। বাড়ি শেরপুরের নকলা উপজেলার বাছুর আলগা গ্রামে। দীর্ঘদিন পর দেখা পেয়ে দুই বন্ধু একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন।
এমনই অনেক দৃশ্য দেখা গেল গতকাল শনিবার শেরপুরের নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা রাজলক্ষ্মী উচ্চবিদ্যালয়ে। গতকাল থেকে এ বিদ্যালয়ে দুই দিনব্যাপী শতবর্ষপূর্তি ও পুনর্মিলনী উৎসব শুরু হয়েছে। এটি শুধু উৎসব নয়—এ যেন বিদ্যালয়ের প্রায় দেড় হাজার প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীর মিলনমেলা।
দুপুরে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে উৎসবের উদ্বোধন করেন কৃষি মন্ত্রণালয়বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনের সাংসদ মতিয়া চৌধুরী। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শতবর্ষ উদ্যাপন পরিষদের আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা মো. আকরাম হোসাইন।
প্রধান অতিথি দীপু মনি, সাংসদ মতিয়া চৌধুরীসহ আরও বক্তব্য দেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মোফাখ্খার ইসলাম, অধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক শফিকুল ইসলাম প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান তাসলিমা বেগম, ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান গাজী হাসান কামাল, জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিল্লাল হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম মাহবুবুল আলম, আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, আগামী ১ এপ্রিল থেকে অনুষ্ঠেয় উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে সরকার সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। গোয়েন্দা তৎপরতা ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
সাংসদ মতিয়া চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ দেশের নিরক্ষর মানুষের মধ্যে আলোকবর্তিকা ছড়িয়েছেন। প্রতিটি শিশু যাতে বিদ্যালয়ে যায় এবং বছরের প্রথম দিনই বই পায়, তা নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, ১৯১৯ সালে তৎকালীন জমিদার প্রয়াত গোপাল দাস চৌধুরী তাঁর মা রাজলক্ষ্মীর নামে নকলার চন্দ্রকোনায় রাজলক্ষ্মী উচ্চবিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন।