পাহাড়ে পানি নিশ্চিত করতে হলে আগে বন রক্ষা করতে হবে। বন রক্ষা হলে ঝিরি-ঝরনা বাঁচবে। এ ছাড়া ছড়া ও ঝিরি থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলায় বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
আজ বেলা ১১টায় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে ও ইউএনডিপির সহযোগিতায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সিএইচটি ক্লাইমেট রিজিলিয়েন্স প্রজেক্ট (সিসিআরপি) জেলা কর্মকর্তা শিশির স্বপন চাকমা। বক্তব্য দেন উপজেলা চেয়ারম্যান উদয়জয় চাকমা, ভাইস চেয়ারম্যান রিটন চাকমা, জুরাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যানন চাকমা, বনযোগীছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তোষ বিকাশ চাকমা, মৈদং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাধনানন্দ চাকমা, দুমদুম্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শান্তি রাজ চাকমা প্রমুখ।
এর আগে শোভাযাত্রা আযোজন করা হয়। শোভাযাত্রাটি উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে শুরু করে যক্ষ্মা বাজার এলাকা প্রদক্ষিণ করে আবার উপজেলা পরিষদের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
বক্তারা বলেন, পার্বত্য এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তন ও নির্বিচারে সবুজ বনায়ন নিধন এবং সেগুনগাছ ও রাবার বনায়নের কারণে পাহাড়ের মাটির গভীরের পানির স্তর কমে যাচ্ছে। ফলে দিন দিন শুষ্ক মৌসুমে পানির সংকট দেখা দিচ্ছে। পাহাড়ি এলাকায় ঝিরি-ঝরনায় পানির প্রবাহ ও উৎস বাঁচিয়ে রাখতে গ্রামভিত্তিক বন সংরক্ষণ এবং বাঁশবাগান সৃষ্টি করতে হবে।