পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে এক নারীর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল মেয়েটি (১৭)। ভোরে মেয়েটির কক্ষে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন প্রতিবেশী এক যুবক। এ সময় মেয়েটি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে পুলিশ এসে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। মঙ্গলবার ভোর পাঁচটার দিকে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া পৌর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে সোহেল মুন্সী (২৬) ও সহযোগিতার অভিযোগে ফিরোজা বেগম (৪৫) নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করে। সোহেল মুন্সী ভান্ডারিয়া পৌরসভার লক্ষ্মীপুরা মহল্লার মফিজুর রহমান মুন্সীর ছেলে। ফিরোজা বেগম উপজেলার দক্ষিণ শিয়ালকাঠী গ্রামের মো. রফিকুল ইসলামের স্ত্রী। ফিরোজা বেগম পৌরসভার লক্ষ্মীপুরা মহল্লায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভান্ডারিয়া পৌরসভার লক্ষ্মীপুরা মহল্লার হাইস্কুল সড়কে রিপন ব্যাপারীর বাড়িতে ফিরোজা বেগম ভাড়াটে হিসেবে বসবাস করেন। স্থানীয় একটি কলেজের ছাত্রী ওই মেয়ে (১৭) কলেজে যাওয়া-আসার সময় ফিরোজা বেগমের সঙ্গে পরিচয় হয়। পিতা-মাতাহীন দরিদ্র মেয়েটি ফিরোজা বেগমকে খালা ডাকত। তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠার পর মেয়েটি প্রায়ই ফিরোজা বেগমের বাসায় যেত। মেয়েটির কিছু কাগজপত্র ফিরোজা বেগমের কাছে গচ্ছিত ছিল।
গত সোমবার বিকেলে মেয়েটি কাগজপত্র নেওয়ার জন্য ফিরোজা বেগমের বাসায় যায়। এরপর ফিরোজা বেগমের অনুরোধে মেয়েটি তাঁর বাসায় রাত যাপন করে।
মঙ্গলবার ভোর পাঁচটার দিকে প্রতিবেশী সোহেল মুন্সী ফিরোজা বেগমের সহযোগিতায় তার ঘরে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। এ সময় মেয়েটি কৌশলে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে সহায়তা চায়। কিছুক্ষণ পর ভান্ডারিয়া থানার পুলিশ ফিরোজা বেগমের বাসায় গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশ সোহেল মুন্সী ও ধর্ষণের চেষ্টায় সহায়তা করার অভিযোগে ফিরোজা বেগমকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনায় মেয়েটি বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দুজনকে আসামি করে ভান্ডারিয়া থানায় মামলা করে।
ভান্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাকসুদুর রহমান বলেন, সোহেল মুন্সী প্রতিবেশী ফিরোজা বেগমের সহযোগিতায় মেয়েটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক মেয়েটিকে উদ্ধার করে। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানো হবে।