ফেনীর সোনাগাজীতে চেক জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার ঘটনায় করা তিনটি মামলায় ছয় মাসের সাজা পেয়েছিলেন আবদুল মোমিন (৫৫)। সেই সাজা থেকে বাঁচতে স্ত্রীকে নিয়ে তিনি আট বছর পালিয়ে ছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত পুলিশের কাছে ধরা পড়েছেন স্বামী-স্ত্রী দুজন। মোমিনের তিনটি মামলায় সাজা ছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে থানায় একই অভিযোগে ১৭টি মামলা এবং তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
আজ রোববার ভোরে ফেনী শহর এলাকা থেকে আবদুল মোমিন ও তাঁর স্ত্রী কোহিনুর বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই দিন দুপুরে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আবদুল মোমিন উপজেলার সদর ইউনিয়নের চর খোয়াজ এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১২-২০১৫ সাল পর্যন্ত চেক জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগে আবদুল মোমিনের বিরুদ্ধে ফেনীর আদালতে ১৭টি এবং তাঁর স্ত্রী কোহিনুর বেগমের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। ২০১২ সালে দুটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। পরে জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে চলে যান স্বামী-স্ত্রী দুজন। এরপর তিনি আর আদালতে হাজির হননি। দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০১৪ সালে আদালত আবদুল মোমিনকে তিন মামলায় ছয় মাসের সাজাসহ অর্থদণ্ড প্রদান করেন। বাকি মামলাগুলোয় আদালত স্বামী-স্ত্রী দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
সোনাগাজী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রথম আলোকে বলেন, আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাওয়ার পর আবদুল মোমিনের খোঁজে মাঠে নামে পুলিশ। কিন্তু মোমিন প্রায়ই স্থান পরিবর্তন করতেন। এক সপ্তাহ আগে মোমিনকে ধরতে তিনি ছদ্মবেশে তাঁর গ্রামের বাড়ি ও ফেনী শহর এলাকাসহ সম্ভাব্য কয়েকটি স্থানে গিয়ে খোঁজখবর নেন। পরে এক ব্যক্তির মাধ্যমে তাঁর মুঠোফোন নম্বর ও ছবি সংগ্রহ করেন। সেই নম্বরের সূত্র ধরে ফেনী শহর এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে স্বামী-স্ত্রী দুজনকে গ্রেপ্তার করেন।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম বলেন, তিনটি মামলায় সাজাসহ ১৭ মামলার আসামি আবদুল মোমিন ও তাঁর স্ত্রীকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে ফেনীর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।