৫০ হাজার টাকা জরিমানা করার ১১ দিন পর ব্যবসায়ীকে ৬ মাসের কারাদণ্ড

আদালত
প্রতীকী ছবি

টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায় নজরুল ইসলাম (৪০) নামের এক গোখাদ্য ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করার ১১ দিন পর ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গরু মোটাতাজা করার জন্য গোখাদ্য হিসেবে পোশাক কারখানার ঝুট বিক্রি ও সরকারি নির্দেশনা অমান্য করার অপরাধে তাঁকে এই কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আলম এই রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম সখীপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত গণি মিয়ার ছেলে। নজরুল দেড় বছর ধরে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জামতলা এলাকায় ছয়টি দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করছেন। নজরুলকে এক বছর আগেও একই অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত সাজা দিয়েছিলেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, কোরবানি ঈদ সামনে রেখে গরু মোটাতাজা করার জন্য গোখাদ্য হিসেবে ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম ছয়টি গুদামে কমপক্ষে ১০ টন ঝুট মজুত করেছিলেন। ৫ জুন বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জামতলা এলাকায় মেসার্স রোজা এন্টারপ্রাইজ নামের ওই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই দিন নজরুল ইসলামকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে তাঁর ছয়টি গুদাম সিলগালা ও তিন টন ঝুট আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। এর পর থেকে নজরুল সিলগালা করা গুদামের তালা ভেঙে চুরি করে ঝুট (তুলা) বিক্রি করছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ আজ সকালে তাঁকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করে। পরে আদালত তাঁকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সামিউল বাছির প্রথম আলোকে বলেন, এই তুলা গবাদিপশুর স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হওয়ায় এসব পশুর খাদ্য হিসেবে ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তুলা কোনো পশুখাদ্যের তালিকায় নেই। গবাদিপশুকে দীর্ঘ মেয়াদে এটা খাওয়ালে পেট ফেঁপে মারাও যেতে পারে। তারপরও কিছু কৃষক গরু মোটাতাজা বানিয়ে বেশি দাম পাওয়ার আশায় ঝুট খাইয়ে থাকেন।