মিয়ানমারের মংডু থেকে এক রোহিঙ্গা বিশেষ কায়দায় প্রায় ৩ কোটি টাকা দামের পাঁচ কেজি ওজনের ৩৩টি স্বর্ণের বার নিয়ে আসেন। পরে স্বর্ণের চালান নিয়ে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে ঢোকার সময় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা ওই রোহিঙ্গাকে আটক করেন।
আজ সোমবার সকালে উখিয়া টেলিভিশন উপসম্প্রচারণকেন্দ্র এলাকা থেকে স্বর্ণের চালানসহ আটক ওই রোহিঙ্গার নাম মো. জয়নুল আবেদীন। তিনি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের শূন্যরেখায় (নোম্যান্স ল্যান্ড) অবস্থিত তুমব্রু কোনারপাড়া রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দা জফল আহমদের ছেলে। এই কোনাপাড়া রোহিঙ্গা শিবিরের ২০-৩০ মিটার পেছনে (দক্ষিণে) মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য।
কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, মিয়ানমার থেকে বড় আকারের স্বর্ণের চালান আসছে, এমন খবরের ভিত্তিতে তুমব্রু সীমান্তচৌকির বিজিবি টহল দলকে সতর্কাবস্থায় রাখা হয়। সকাল ছয়টার দিকে মিয়ানমারের দিক থেকে লুঙ্গি পরা একজন রোহিঙ্গা নাগরিককে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশ সীমান্তে ঢুকতে দেখেন বিজিবির সদস্যরা। পরে তাঁর গতিবিধি নজরদারিতে রাখা হয়। উখিয়ার বালুখালী টেলিভিশন টাওয়ার–সংলগ্ন এলাকার সামনে পৌঁছালে বিজিবির সদস্যরা তাঁকে আটক করেন এবং তাঁর শরীর থেকে স্বর্ণের বারগুলো উদ্ধার করা হয়। স্বর্ণের বার নিয়ে ওই রোহিঙ্গা উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দিকে যাচ্ছিলেন হেঁটে।
বিজিবি সদস্যরা বলেন, রোহিঙ্গা জয়নুলের কোমরে লুঙ্গির ভাঁজ থেকে ৪৭০ ভরি ওজনের ৩৩টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। যার ওজন ৫ কেজি ৪৮২ গ্রাম। স্বর্ণগুলোর বর্তমান বাজারমূল্য ২ কোটি ৯১ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ বলেন, আটক রোহিঙ্গাকে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার স্বর্ণের বারগুলো কক্সবাজারের ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, ২ আগস্ট কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের রামুর মরিচ্যা যৌথ বাহিনীর তল্লাশিচৌকিতে ছয়টি সোনার বারসহ মোহাম্মদ আবছার উদ্দিন (১৯) নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করে বিজিবি। ছয়টি সোনার বারের আনুমানিক মূল্য ৬০ লাখ টাকা।