কোরবানি উপলক্ষে বিক্রির জন্য ৩০ মণ ওজনের একটি ষাঁড় প্রস্তুত করেছেন হাফিজুর রহমান সোহাগ। শখ করে ষাঁড়টির নাম রেখেছেন মহারাজ। আট ফুট লম্বা কালো রঙের মহারাজের বয়স চার বছর। মহারাজ ছাড়াও তাঁর খামারে আছে আরও তিনটি ষাঁড়। মহারাজ সবচেয়ে সুঠাম ও আকর্ষণীয় হওয়ায় ১২ লাখ টাকা দাম হাঁকিয়েছেন তিনি।
খামারি হাফিজুরের বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলার সদর ইউনিয়নের বটতলা গ্রামে। সেখানে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘জাহানারা অ্যাগ্রো ফার্ম’ নামে খামার। অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টি দেখতে প্রতিদিন আশপাশের মানুষ তাঁর খামারে ভিড় করছে।
জাহানারা অ্যাগ্রো ফার্মের মালিক হাফিজুর রহমান বলেন, ষাঁড়টির রং কালো। আদর করেই এর নাম রাখা হয়েছে মহারাজ। সে খুবই শান্ত প্রকৃতির। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরামর্শে ষাঁড়টিকে সম্পূর্ণ দেশীয় খাবার খাওয়ানো হয়েছে। ক্ষতিকর কোনো ওষুধ কিংবা বিকল্প খাবার ছাড়াই মহারাজের ওজন দাঁড়িয়েছে ৩০ মণে। ১২ লাখ টাকায় মহারাজকে বিক্রি করার প্রত্যাশা তাঁর।
২০১১ সালের শেষের দিকে মাত্র একটি গরু দিয়ে খামার শুরু করেন হাফিজুর রহমান। বর্তমানে তাঁর খামারে ১২টি গরু আছে। এর মধ্যে চারটি ষাঁড় এবার কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
বেতাগী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, ষাঁড়টি তাঁদের পরামর্শে লালন-পালন করা হয়েছে। উপজেলায় ৩৫১টি খামার আছে। তবে এত বড় ষাঁড় উপজেলায় আর কোথাও নেই।
হাফিজুর রহমানের ভাষ্য, মহারাজের পেছনে প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। এখন পর্যন্ত মহারাজের পেছনে প্রায় ৭ লাখ টাকা খরচ হয়ে গেছে। নিরাপত্তা দিতেও এখন রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে। নিজের সন্তানের মতো চার বছর ধরে লালন-পালন করে আজকের এই মহারাজ। ২০১১ সালের শেষের দিকে মাত্র একটি গরু দিয়ে খামার শুরু করেন তিনি। বর্তমানে তাঁর খামারে ১২টি গরু আছে। এর মধ্যে চারটি ষাঁড় এবার কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।