দীর্ঘ ২২৯ দিন পর টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে কাল মঙ্গলবার থেকে পরীক্ষামূলকভাবে পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইনকে চলাচলের অনুমতি দিয়েছে জেলা প্রশাসন। কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সাগর উত্তাল থাকার পাশাপাশি কালবৈশাখীর আশঙ্কায় দুর্ঘটনা এড়াতে চলতি বছরের ৩১ মার্চ থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন ও সেন্টমার্টিন-কক্সবাজার—দুটি নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেয় স্থানীয় জেলা প্রশাসন। ওই সময় এ দুটি নৌপথে ১০টি জাহাজ চলাচল করেছিল। এর মধ্যে ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের আঘাতে পর্যটক ওঠা–নামার জেটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জেলা প্রশাসনের একটি প্রতিনিধিদল জেটির মেরামত কাজ পরিদর্শন করেন। তদারকের পাশাপাশি লোহার পাটাতন বসানোর কাজ চলার কারণে এত দিন ধরে পর্যটকবাহী জাহাজগুলোকে অনুমতি দেওয়া হয়নি।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান জানান, কাল সকাল থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন পরীক্ষামূলক চলাচল করবে। পর্যটকদের নিরাপত্তা ও জেটির মেরামত কাজ পর্যবেক্ষণ করার পর পর্যায়ক্রমে অবস্থা বুঝে অন্য জাহাজগুলোকে অনুমতি দেওয়া হবে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ চৌধুরী জানান, প্রতিবছর অক্টোবর মাসের শেষের দিকে জাহাজ চলাচল শুরু হলেও এবার পর্যটক উঠা–নামার ক্ষতিগ্রস্ত জেটির মেরামত কাজ শেষ করতে গিয়ে কিছুটা দেরি হয়েছে।
কেয়ারি ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের কক্সবাজার অফিসের কর্মকর্তা এ কে এম আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের ছাড়পত্র পেয়েছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কাল সকাল থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল শুরু করবে। এখন থেকে সেন্টমার্টিন ভ্রমণে আগ্রহী পর্যটকেরা জাহাজের টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন।’
জানতে চাইলে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ জানান, কিছুটা দেরিতে এবারের পর্যটন মৌসুম শুরু হচ্ছে। পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা তাঁদের আবাসিক হোটেল ও কটেজগুলো সাজিয়ে রেখেছেন।