আগামী ১৭ এপ্রিলের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল পরিচয়পত্র ও সনদ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচয়পত্র ও সনদের দাবি দীর্ঘদিনের। ১৭ এপ্রিলের মধ্যে তাঁদের হাতে ডিজিটাল পরিচয়পত্র ও সনদ তুলে দেওয়া হবে।
মন্ত্রী জানান, এই ডিজিটাল পরিচয়পত্রে আট ধরনের বারকোড থাকবে। পরিচয়পত্র মেশিনে ধরা হলেই বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণসহ জাতীয় সংগীত, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বিভিন্ন স্থিরচিত্র ভেসে উঠবে।
আজ শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ শহরে শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়ামে ঢাকা পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে বেলা ১১টার দিকে মিলনমেলার উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচনের বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের দীর্ঘদিনের দাবি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন। মামলার কারণে নির্বাচন দেওয়া সম্ভব হয়নি। এখন মামলা নেই। অচিরেই নির্বাচন দেওয়া হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, এই সরকারের সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা সম্মানজনক হারে বৃদ্ধি করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে অসচ্ছল ৩০ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। যেসব স্থানে বধ্যভূমি রয়েছে, সেসব জায়গা সংরক্ষণ করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। একইভাবে মুজিবনগরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকেন্দ্র নির্মাণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
মিলনমেলায় স্মৃতিচারণা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, প্রধানমন্ত্রীর শিল্পবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সভাপতি মো. শাজাহান প্রমুখ। মিলনমেলায় সাড়ে তিন হাজারের বেশি মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের স্বজন উপস্থিত ছিলেন।