রাজবাড়ী সদর উপজেলায় ট্রাফিক পুলিশকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও রাস্তায় মোটরসাইকেল রেখে যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করার অভিযোগে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। ওই যুবকের নাম রাশেদুল হক। তিনি রাজবাড়ী শহরের ২৮ কলোনি এলাকার বাসিন্দা। আটকের পর রাজবাড়ী সদর থানার উপপরিদর্শক মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে ওই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
পুলিশের অভিযোগ, ওই যুবক পুলিশের গায়ে হাত তুলেছেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে রাশেদুল হক বলেন, পুলিশ তাঁকে আটকে রেখে মারধর করে।
রাজবাড়ীর ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে বাজারে যান চলাচল নির্বিঘ্নœকরতে এক দল পুলিশ টহল দিচ্ছিল। শহরের কাপড় বাজার মোড় এলাকায় একটি মোটরসাইকেল রাস্তার ওপর রাখা ছিল। এতে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছিল। টহল পুলিশ মোটরসাইকেলের আশপাশে কাউকে না পেয়ে হেলমেটটি নিয়ে আসে। হেলমেটটি পুলিশ বক্সে রেখে টহল পুলিশ বাইরে চলে যায়।
মিজানুর রহমান বলেন, ‘কিছু সময় পর আমি বিশ্রামের জন্য পুলিশ বক্সে আসি। এরপর হেলমেট নিতে আসেন রাশেদুল হক। তিনি আমার কাছে হেলমেট আনার কারণ জানতে চান। আমি হেলমেট আনিনি বা কে এনেছে জানি না বললে রাশেদুল উত্তেজিত হয়ে যান। তিনি চিৎকার-চেঁচামেচি করতে থাকেন। আমি বারবার জানি না বললেও আমাকে ছাড়ছিলেন না। চিৎকার শুনে আমার সহকর্মীরা এগিয়ে আসেন। তাঁরা রাশেদুলকে পুলিশ বক্স থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। কিন্তু তিনি বের না হয়ে পুলিশের গায়ে হাত তোলেন। ধাক্কাধাক্কি করতে থাকেন।’
মিজানুর রহমান আরও বলেন, ‘আমাদের কারণেই নাকি ঢাকায় মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন রাশেদুল। তাঁকে কোনোভাবেই শান্ত করা যাচ্ছিল না। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবহিত হওয়ায় তাঁকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।’
আটকের আগে রাশেদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, তিনি টিসিবির ডিলার। মোটরসাইকেলটি রাস্তার পাশে রেখে সোনালী ব্যাংকে টিসিবির টাকা জমা দিতে যান। ফিরে এসে দেখেন তাঁর মোটরসাইকেলের হেলমেট নেই। কয়েকজন জানান, হেলমেটটি পুলিশ নিয়ে গেছে। পরে পুলিশের কাছ থেকে হেলমেট নিতে পুলিশ বক্সে আসেন তিনি। এ সময় তাঁকে পুলিশ মারধর করে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
রাজবাড়ী থানা সূত্রে জানা গেছে, রাশেদুল হকের বিরুদ্ধে পুলিশ আইনের ৩৪(৩) ধারায় মামলা করা হয়েছে। বুধবার তাঁকে আদালতে পাঠানো হবে।