হার্ডিঞ্জ সেতুতে পড়েছিল ঢাবি ছাত্রের লাশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী মাহবুব আলম
ছবি: সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় হার্ডিঞ্জ সেতু থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত ওই ছাত্রের নাম মাহবুব আলম। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। বাড়ি জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায়।

পুলিশ বলছে, নিহতের মাথার পেছনে ও সামনে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে লাশ উদ্ধারের পর কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে বিকেল পাঁচটার দিকে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

রেলওয়ে পোড়াদহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনজের আলী জানান, বৃহস্পতিবার সকাল আটটার দিকে তিনি খবর পান ভেড়ামারায় হার্ডিঞ্জ সেতুর ওপর এক ব্যক্তির লাশ পড়ে আছে। সেখানে থানার উপপরিদর্শক নজরুল ইসলামকে পাঠান। ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই পুলিশ সদস্য দেখতে পান লাশের মাথার সামনে ও পেছনে কাটা দাগ। লাশের পরনে থাকা পোশাকের পকেটে জাতীয় পরিচয়পত্র ও মুঠোফোনের সূত্র ধরে তাঁর পরিচয় নিশ্চিত হন।

পরিবার সূত্র জানায়, ওই শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের ১০০৬ নম্বর কক্ষে থাকতেন। মা–বাবার একমাত্র সন্তান তিনি। তাঁর বাবা আবদুল হান্নান জয়পুরহাট জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান।

আবদুল হান্নান আজ সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার একমাত্র ছেলে মাহবুব। বুধবার রাত ৯টায় সে তাঁর মাকে ফোনে জানায়, কুষ্টিয়ায় লালন মেলা দেখতে যাচ্ছে। “কার সঙ্গে যাচ্ছ”, এই প্রশ্নের জবাবে ছেলে জানিয়েছিল, “একজন সঙ্গে আছে, তুমি তাকে চিনবে না।” এরপর আর কোনো কথা হয়নি।’ সকালে জানতে পারেন লাশ হার্ডিঞ্জ সেতুতে পড়ে আছে।

ভেড়ামারা রেলওয়ে থানার ওসি মো. মনজের আলী বলেন, কী কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।