চতুর্থ ধাপে ৫৪ পৌরসভায় ভোট রোববার। প্রচার শুরুর পর থেকে গতকাল পর্যন্ত ৩০ পৌরসভায় হামলা, ভাঙচুর ও সংঘর্ষ
পৌরসভা নির্বাচনের পরিবেশ শান্ত রাখতে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন, সংঘাত আর হবে না—গত বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এমন আশার বাণী শুনিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর এই বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পরই বৃহস্পতিবার রাতে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ে পাল্টাপাল্টি হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
চতুর্থ ধাপের পৌরসভা নির্বাচন কেন্দ্র করে প্রচারের শুরু থেকেই দেশের বিভিন্ন এলাকায় হামলা, ভাঙচুর ও সংঘাতের ঘটনা ঘটছে। বিভিন্ন পৌরসভায় একের পর এক হামলা ও সংঘাতের ঘটনা ঘটলেও তা থামাতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, কিছু ক্ষেত্রে সতর্ক করা ছাড়া ইসি জোরালো ভূমিকা রাখতে পারছে না। এমন পরিস্থিতিতে আগামীকাল রোববার দেশের ৫৪টি পৌরসভায় ভোট গ্রহণ করা হবে।
দেশের স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ইতিহাস দেখলে দেখা যাবে, এসব নির্বাচনে কমবেশি সংঘাত-সংঘর্ষ আছে। দলের পক্ষ থেকে চেষ্টা থাকে যেন এই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর হয়।মাহবুব উল আলম হানিফ, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক
প্রথম আলোর প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, এই নির্বাচন কেন্দ্র করে গত কয়েক দিনে অন্তত ৩০টি পৌরসভায় সংঘর্ষ, হামলা, ভাঙচুর ও প্রচারে বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে একাধিকবার হামলা ও সংঘর্ষ হয়েছে পটুয়াখালীর কলাপাড়া, ঠাকুরগাঁও সদর ও টাঙ্গাইলের গোপালপুর পৌরসভায়। যে ৩০টি পৌরসভায় সংঘর্ষ হয়েছে, তার মধ্যে ১৮টি ঘটনাই ঘটেছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীর কর্মী–সমর্থকদের মধ্যে। আর ছয়টি ঘটনা ঘটেছে আওয়ামী লীগ ও দলের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে।
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা এবং লক্ষ্মীপুরের রামগতি পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দুই নেতার বক্তব্যের ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল (ছড়িয়ে পড়া) হয়েছে। যেখানে চুয়াডাঙ্গার আওয়ামী লীগ নেতা প্রতিপক্ষকে ভয়ভীতি ও দলীয় কর্মীদের অনিয়ম করে ভোট দেওয়ার ‘কৌশল’ বলে দিচ্ছেন। আর লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেছেন, ইভিএমে নৌকার বাইরে ভোট দিলে ধরে ফেলা যায়। এ ছাড়া ক্ষমতাসীন দলের চারজন সাংসদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে।
এর আগের তিন দফায় অনুষ্ঠিত পৌর ভোটে সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। সর্বশেষ গত ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে সংঘর্ষ, গোলাগুলি, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়া এবং মারধরের ঘটনা ঘটে অন্তত আটটি পৌরসভায়। আর ১০টি পৌরসভায় বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ভোট বর্জন করেছিলেন। তৃতীয় ধাপে মোট ৬২টি পৌরসভার ভোট হয়।
সংঘাত-সংঘর্ষের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম গতকাল রাতে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, নির্বাচনী কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তারপরও কিছু আশঙ্কা থেকে যায়। এটি নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী ও তাঁদের অতি উৎসাহী কর্মী-সমর্থকদেরও বুঝতে হবে। ইভিএম নিয়ে লক্ষ্মীপুরের আওয়ামী লীগ নেতার বক্তব্যে বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তাঁকেসহ আপনাদেরও বলব, এসে দেখে যান এটা করা সম্ভব কি না?’
চতুর্থ ধাপে আগামীকাল ৫৬টি পৌরসভার নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও মাদারীপুরের কালকিনি এবং নাটোর সদর পৌরসভার নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। শেষ মুহূর্তে কালকিনির নির্বাচন স্থগিত করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মসিউর রহমানসহ কাউন্সিলর প্রার্থীরা। মসিউর ৬ ফেব্রুয়ারি হঠাৎ নিখোঁজ হন। ১১ ঘণ্টা পর ফিরে এসে তিনি জানান, পুলিশ সুপারের (এসপি) গাড়িতে করে তাঁকে কালকিনি থেকে ঢাকায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর অনুরোধও করা হয়েছিল তাঁকে।
পৌরসভা নির্বাচনের কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ, হামলা ও বিরোধী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রথম আলোকে বলেন, ইভিএম নিয়ে লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের যে বক্তব্য বেরিয়েছে, তাতে তো মনে হয়, এখানে পুরো রাষ্ট্রযন্ত্র একতরফা নির্বাচন করছে। নির্বাচনের নামে প্রহসন করছে।
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর কয়েকটি কার্যালয়ে পাল্টাপাল্টি হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নৌকা প্রতীকের সমর্থকেরা আলমডাঙ্গা শহরে মোটরসাইকেল নিয়ে মহড়ায় নামেন। তাঁরা মহড়া দিতে দিতে কলেজপাড়া ও আনন্দধামে মোবাইল ফোন প্রতীকের মেয়র প্রার্থীর কার্যালয় এবং একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা সংগঠিত হয়ে নৌকা প্রতীকের চারটি নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করেন এবং কয়েকটি বাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এ সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থীর তিন কর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের প্রথমে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ও পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী হাসান কাদির গণির পক্ষে দলীয় কর্মী আ স ম আলাউদ্দিন বাদী হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী সবেদ আলীর ৪৯ জন কর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ১২০ জনকে আসামি করে মামলাটি করা হয়েছে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা তারেক আহমেদ বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনার ব্যাখ্যা চেয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীকে নোটিশ দেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিপক্ষের লোকজনকে অস্ত্র উঁচিয়ে হুমকি-ধমকি দেওয়ায় যুবলীগের এক নেতাসহ তিনজনকে বৃহস্পতিবার রাতে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। দণ্ডিত তিনজনের মধ্যে জীবননগর উপজেলার হাসাদহ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতিও রয়েছেন।
ওই রাতেই পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী দিদারউদ্দিন আহমেদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে। তিনি আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চেয়ে না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে নির্বাচন করছেন। তিনি বলেন, এখানে ভোটের কোনো পরিবেশ নেই। পুরো কলাপাড়া শহর বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দখলে চলে গেছে।
অবশ্য আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব তালুকদার বলেন, ‘কে হামলা করেছে, কেন হামলা হয়েছে, তা আমি জানি না।’
এদিকে নোয়াখালীর চাটখিল পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোস্তফা কামালের ছেলেকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বিএনপির প্রার্থী অভিযোগ করেছেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি পৌরসভা নির্বাচনে তাঁকে পরাজিত করতেই জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাঁর ছেলেকে তুলে নিয়ে গেছে ডিবি।
এ বিষয়ে জেলা ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হুসাইন প্রথম আলোকে তিনি বলেন, মাহবুবুর একটি মামলার পলাতক আসামি। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে।
যশোরের দুই পৌরসভা চৌগাছা ও বাঘারপাড়া পৌরসভা নির্বাচনে স্থানীয় দুই সাংসদ আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারে মাঠে নেমে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে
শরীয়তপুরের ডামুড্যা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রেজাউল করিমের ১৪ সমর্থকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বৃহস্পতিবার রাতে মামলাটি দায়ের করেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. কামাল উদ্দিন আহমেদের ছেলে কাউসার আহমেদ।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী অভিযোগ করেন, প্রতীক বরাদ্দের পর স্থানীয় সাংসদ নাহিম রাজ্জাক আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে কাজ শুরু করেন। তিনি কয়েক দফায় ঢাকা থেকে ডামুড্যা এসে নেতা-কর্মীদের নিয়ে সভা করেন এবং নৌকা প্রতীকে ভোট চান। এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করা হয়েছে।
অবশ্য আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, সাংসদের বাড়ি এখানে, তিনি ভোট দেওয়ার জন্য ও নির্বাচনী এলাকায় অন্য কর্মসূচিতে অংশ নিতে এসেছেন। তিনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন না।
আর ডামুড্যা পৌরসভা নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এইচ এম গোলাম মোস্তফা প্রথম আলোকে বলেন, সাংসদ এলাকায় অবস্থান করলেও প্রকাশ্যে প্রচারণা চালানোর কোনো প্রমাণ তাঁদের কাছে নেই।
যশোরের দুই পৌরসভা চৌগাছা ও বাঘারপাড়া পৌরসভা নির্বাচনে স্থানীয় দুই সাংসদ আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারে মাঠে নেমে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই দুই সাংসদ হলেন সাংসদ শাহীন চাকলাদার ও মো. নাসির উদ্দীন। অবশ্য বিষয়টি নজরে আসেনি বলে দাবি করেছেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
পৌর নির্বাচনে সংঘাত-সংঘর্ষের বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, দেশের স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ইতিহাস দেখলে দেখা যাবে, এসব নির্বাচনে কমবেশি সংঘাত-সংঘর্ষ আছে। দলের পক্ষ থেকে চেষ্টা থাকে যেন এই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর হয়। সেই চেষ্টাই তাঁরা করছেন।
৯ ফেব্রুয়ারি রাতে লালমনিরহাট পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সদর থানায় মামলা করেন ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম। এতে ৫৯ জনের নাম-পরিচয় উল্লেখ করে আরও দেড় শ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।
তবে লালমনিরহাট জেলা বিএনপির অভিযোগ, আওয়ামী লীগের লোকজনই কার্যালয় ভাঙচুর করে বিএনপি এবং বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ৪২ নেতা-কর্মীর নামে গায়েবি মামলা করেছেন।
জানা গেছে, এ মামলার ১৭ আসামি মেয়র পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও বহিষ্কৃত প্রার্থীর কর্মী ও সমর্থক।
একই দিনে জেলার পাটগ্রাম পৌরসভার সোহাগপুর এলাকায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। দলের মেয়র প্রার্থী রাশেদুল ইসলামের অভিযোগ, বিএনপির প্রার্থীর কর্মীরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। আর বিএনপির প্রার্থী এ কে মোস্তাফা সালাউজ্জামানের অভিযোগ, তাঁর নেতা-কর্মীদের হয়রানি করতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা সাজানো হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ে ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় করা মামলায় বিএনপির ছয় কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নির্বাচনে স্থানীয় সাংসদ সামিল উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর পক্ষে গণসংযোগ ও ভোট চাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সাংসদকে সতর্ক করে চিঠি দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
শুরু থেকে ব্যবস্থা না নেওয়ায় এসব ঘটনা ঘটছে বলে মনে করেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এর আগেও পৌরসভা নির্বাচন ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ইভিএম নিয়ে যে বক্তব্য এসেছে (লক্ষ্মীপুরের ঘটনা) তাতে তো পুরো নির্বাচনী ব্যবস্থাকেই চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। কঠোর পদক্ষেপ না নিয়ে কেবল ‘হোমিওপ্যাথি’ দিয়ে কাজ হবে না।
[প্রতিবেদন তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন প্রথম আলোর সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রতিনিধিরা]