পূজামণ্ডপে হামলা ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে আজ শুক্রবারও ১৪৪ ধারা অব্যাহত রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করেছে। পুলিশ সারা রাত বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালালেও নতুন করে কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ বলেন, হাজীগঞ্জসহ চাঁদপুরের পরিবেশ স্বাভাবিক আছে। তারপরও হাজীগঞ্জের প্রতিটি পূজামণ্ডপ ও হাজীগঞ্জ বড় মসজিদ এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করতে বাড়তি পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা আছে। কোনো ধরনের আশঙ্কা নেই।
কুমিল্লার ঘটনার জেরে গত বুধবার রাত সোয়া আটটায় হাজীগঞ্জ পৌর এলাকায় ‘তৌহিদী জনতা’র ব্যানারে মিছিল বের করা হয়। একপর্যায়ে মিছিলকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। এ সময় পুলিশ গুলি চালায়। এতে চারজন নিহত ও পুলিশসহ অন্তত ৫০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সংঘর্ষের ঘটনার পর রাত ১১টা থেকে হাজীগঞ্জ বাজার এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে স্থানীয় প্রশাসন।
এদিকে হাজীগঞ্জের বিভিন্ন মন্দিরে হামলা বিষয়ে মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে আরও কয়েকটি মামলা করার কথা থাকলেও এখনো তারা কোনো মামলা করেনি। পূজা উদ্যাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিঠুন ভদ্র বলেন, ‘আমরা হামলাকারীদের চেনার চেষ্টা করছি। তারপর এই মামলা করব।’
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ বলেন, গতকাল রাতে পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করেছে। এতে পাঁচ–ছয়জনের নাম উল্লেখ করে আরও দুই হাজার জনকে আসামি করা হয়। তবে এ পর্যন্ত এই ঘটনায় সাতজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে পুলিশ রাতভর অভিযান চালিয়েছে। তবে নতুন করে কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। যারা গ্রেপ্তার হয়েছে, তাদের অচিরেই আদালতে পাঠানো হবে।
চাঁদপুর জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, আজ পবিত্র জুমার নামাজের দিন। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, সে জন্য ১৪৪ ধারা হাজীগঞ্জে অব্যাহত রাখা হয়েছে। তা ছাড়া দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ–বিজিবি সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রয়েছে।