পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে যাঁরা গাফিলতি ও অনিয়ম করেছেন, তদন্ত করে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজ শনিবার দুপুরে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার নলুয়ার হাওরের ভূরাখালি এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ফসল রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এই মুহূর্তে বাঁধ রক্ষার জন্য যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করার ওপর গুরুত্বারোপ করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, এখন দোষারোপ করার সময় নয়। ফসল উত্তোলনের জন্য বাঁধগুলো রক্ষায় যা যা করা দরকার, তা করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তা ও প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
এ সময় কৃষকেরা পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানকে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজে গাফিলতি, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ করেন। কিন্তু বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারকাজে নিয়োজিত প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) লোকজন মন্ত্রীর কাছে পর্যাপ্ত অর্থ না পাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান আরও বলেন, এক সপ্তাহ আগে হাওরের ফসল রক্ষার বেড়িবাঁধগুলো আরও ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় এখন অনেকটা শঙ্কা মুক্ত হয়েছে। তিনি ফসল রক্ষায় বেড়িবাঁধগুলো টেকসই করতে দ্রুত প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে বলেন। তিনি বলেন, পাউবোর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে ফসল রক্ষা বাঁধ রক্ষায় দ্রুত অর্থ বরাদ্দের ব্যবস্থা করা হবে। ভবিষ্যতে আরও টেকসই বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা করা হবে।
নলুয়ার হাওর পরিদর্শনের সময় পরিকল্পনামন্ত্রীর সঙ্গে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন, পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সামসু দৌহা, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ইসরানুল ইসলাম ও সমসের আলী, জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আকমল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বিজন কুমার দেব, চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান হারুন রাশীদ, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল কাইয়ুম, সিরাজুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।