হঠাৎ করে খুলনা মহানগর বিএনপির পাঁচটি থানা কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে খুলনা নগরের কে ডি ঘোষ রোডে অবস্থিত বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে বিশেষ সাংগঠনিক সভায় ওই কমিটি বিলুপ্তির ঘোষণা দেওয়া হয়।
এর আগে নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষিত হওয়ার পর কমিটির পক্ষ থেকে করা সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছিল, আগে মহানগরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে। পরে থানা ও ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা হবে। কিন্তু তা না করে আগেই থানা কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে।
এর আগে খালিশপুর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম আরিফুর রহমান এবং ২২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি তরিকুল্লাহ খান ও সাধারণ সম্পাদক জাহিদ কামালসহ ওই ওয়ার্ডের ১৪ জন নেতা আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। দুপুরের দিকে খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকে নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
কয়েকজন বিএনপি নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পর প্রতিবাদস্বরূপ ওই নেতা-কর্মীরা পদত্যাগের ঘোষণা দেন। নেতা-কর্মীদের পদত্যাগের ঘোষণা আসার খবরে তাৎক্ষণিকভাবে সন্ধ্যার দিকে বিশেষ সভা ডাকে নতুন আহ্বায়ক কমিটি। প্রায় চার ঘণ্টা চলা ওই বৈঠক শেষে পাঁচটি থানা কমিটি বিলুপ্তির ঘোষণা দেওয়া হয়।
গতকাল রাত ১১টার দিকে মহানগর বিএনপির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দলীয় কার্যালয়ে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির প্রথম সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সবার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ওই কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। সভায় আগামী জানুয়ারি থেকে থানা ও ওয়ার্ড কমিটিগুলো পুনর্গঠনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।
সাংগঠনিক সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির নবঘোষিত কমিটির আহ্বায়ক এস এম শফিকুল আলম। প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা। সদস্যসচিব শফিকুল আলম তুহিনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আমীর এজাজ খান।
নজরুল ইসলাম মঞ্জু ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি। ৯ ডিসেম্বর নতুন ঘোষিত কমিটিতে তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এর প্রতিবাদ জানিয়ে ১২ ডিসেম্বর খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। সর্বশেষ গতকাল দুপুরে তাঁকে বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে চিঠি দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি।