ধরমপাশা-বাদশাগঞ্জ সড়ক

সড়ক ভাঙাচোরা, দুর্ভোগে দুই লাখ মানুষ

সুনামগঞ্জের ধরমপাশা-বাদশাগঞ্জ সড়কের দেড় কিলোমিটার অংশ খানাখন্দে ভরা। সড়কের পাশে ধসে গেছে কিছু অংশ। গতকাল তোলা ছবি
  প্রথম আলো

সংস্কারের অভাবে সুনামগঞ্জের ধরমপাশা উপজেলার ধরমপাশা-বাদশাগঞ্জ সড়কটি এখন বেহাল। ছয় কিলোমিটার পাকা সড়কের মধ্যে দেড় কিলোমিটার অংশ ভাঙাচোরা। রয়েছে অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত। আবার কোথাও পাশ দিয়ে সড়ক ধসে গেছে। সড়কটি সংস্কার না করায় ছয়টি ইউনিয়নের দুই লাখ মানুষ ভোগান্তি পোহাচ্ছে।

সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের সুনামগঞ্জ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ধরমপাশা-মধ্যনগর পাকা সড়কটির ‍দৈর্ঘ্য ২০ কিলোমিটার। এই সড়কের ধরমপাশা-বাদশাগঞ্জ অংশের দৈর্ঘ্য ৬ কিলোমিটার। এই ৬ কিলোমিটারের মধ্যে দেড় কিলোমিটার ভাঙাচোরা। সড়কটি আগে সুনামগঞ্জ সওজের অধীনে ছিল। পরে ২০১৫ সালের আগস্ট থেকে এ উপজেলার যাবতীয় কার্যক্রম নেত্রকোনা সওজের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এলাকাবাসী বলেন, সড়ক ভাঙাচোরা থাকায় ধরমপাশা সদর, সেলবরষ, মধ্যনগর, চামরদানী, বংশীকুণ্ডা উত্তর ও বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের বাসিন্দাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দেখা যায়, ছোট-বড় গর্তের জন্য সড়ক দিয়ে বিভিন্ন রকমের যানবাহন হেলেদুলে চলাচল করছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দেওয়ায় সড়কটি দিন দিন সরু হয়ে যাচ্ছে। ধরমপাশা সরকারি কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী বাঁধন চন্দ্র সরকার বলেন, যে উদ্দেশে ধরমপাশা সওজের যাবতীয় কার্যক্রম নেত্রকোনা সওজর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল, তার সুফল এখানকার জনগণ এখনো পায়নি।

সওজ অধিদপ্তরের নেত্রকোনা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হামিদুল ইসলাম বলেন, তাঁরা ইতিমধ্যে সড়কটির বড় গর্তগুলোতে ইট ও মাটি দিয়ে ভরাট করানোর ব্যবস্থা নিয়েছেন। তবে পুরো সড়কটি সংস্কারের জন্য তাঁরা তিন মাস আগে মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছেন।