সড়কে পড়ে থাকা মেয়ের লাশের পাশে আর্তনাদ করছিলেন শিক্ষক বাবা

সড়কে পড়ে থাকা মেয়ের লাশের পাশে আর্তনাদ করছিলেন বাবা স্বপন ধর। আজ রোববার দুপুরে ময়মনসিংহ নগরের স্বদেশী বাজার এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

সড়কে পড়ে আছে মেয়ের লাশ। পাশে আর্তনাদ করছিলেন বাবা। আশপাশে জড়ো হওয়া মানুষেরা সে দৃশ্য দেখছিলেন। কেউ ভিডিও করছিলেন মুঠোফোনে।

আজ রোববার দুপুরে ময়মনসিংহ নগরের ব্যস্ততম স্বদেশী বাজার এলাকায় এমন দৃশ্য দেখা যায়। নিহত মেয়েটির নাম সৃজা ধর। সে ময়মনসিংহ নগরের বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক নাছিমা আক্তার বলেন, সৃজা আজ রোববার ও গতকাল শনিবার স্কুলে যায়নি। তবে সে স্বাভাবিকভাবে স্কুলে হাসি-খুশি থাকত। পড়াশোনার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে তার খুব আগ্রহ ছিল।

সৃজা ধরের বাবার নাম স্বপন ধর। তিনি ময়মনসিংহ কমার্স কলেজের অধ্যাপক। তিনি একজন ছড়াকার ও প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষক হিসেবে ময়মনসিংহে পরিচিত।

পুলিশের ভাষ্য, বেলা দুইটার দিকে হঠাৎ স্বদেশী বাজার এলাকার একটি বহুতল ভবন থেকে সৃজাকে পড়তে দেখেন স্থানীয় লোকজন। মেয়েটি বহুতল ভবন থেকে পড়ে আত্মহত্যা করেছে নাকি তাকে ফেলে দেওয়া হয়েছে, তা কেউ বলতে পারছেন না।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা থেকে জানা যায়, স্বদেশী বাজারের যে ভবন থেকে সৃজাকে পড়তে দেখা যায়, সেই ভবনটি ১২তলা বিশষ্ট। সৃজার পড়ে যাওয়ার সময় কোনো চিৎকার বা আর্তনাদ শোনেনি কেউ। পড়ে যাওয়ার পর খুব বেশি রক্তপাত হয়নি এবং কিছুক্ষণের মধ্যে মৃতদেহে মাছি বসতে শুরু করে।

মেয়েটির বাড়ি ময়মনসিংহ শহরের আউটার স্টেডিয়াম এলাকায়। স্বদেশী বাজার এলাকায় তার আত্মীয়ের বাড়ি। কখন সে নিজের বাড়ি থেকে স্বদেশী বাজার এলাকায় আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিল, তা কেউ বলতে পারছেন না।

ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বলেন, ঘটনার পরপরই পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। মেয়েটির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। পাশাপাশি পরিবারের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।