হাজী দানেশের ২ ছাত্র হত্যা মামলা

স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও যুবলীগের সাবেক নেতা কারাগারে

কারাগার
প্রতীকী ছবি

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী হত্যা মামলার দুই আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালত এই আদেশ দেন। এই দুই আসামি হলেন জাকারিয়া জাকির ও সিরাজুস সালেহীন।

আসামি জাকারিয়া জাকির দিনাজপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ফুলবাড়ী উপজেলার উত্তর সুজাপুর গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে। অপর আসামি সিরাজুস সালেহীন দিনাজপুর শহর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক। তিনি জেলা শহরের উপশহর এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেনের ছেলে। তাঁরা হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন না। মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাঁদের সংশ্লিষ্টতা পেয়ে এই দুজনসহ ২৬ জনের নামে গত বছরের ২৯ জুলাই অভিযোগপত্র দাখিল করে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে শুনানি শেষে জাকারিয়া জাকির ও সিরাজুস সালেহীনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন দিনাজপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-১-এর বিচারক মো. ইসমাইল হোসাইন। এর আগে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাঁদের জামিনের আবেদন করেন।

দিনাজপুর কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মনিরুজ্জামান জানান, আদালতের আদেশ পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী হত্যা মামলার আসামি জাকারিয়া জাকির ও সিরাজুস সালেহীনকে দিনাজপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

২০১৫ সালের ১৬ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের নবীনবরণ অনুষ্ঠান চলাকালে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে দুই ছাত্র নিহত হন। সংঘর্ষে নিহত বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জাকারিয়ার বাড়ি দিনাজপুর শহরের বড়গুড়গোলায়। নিহত অপরজন কৃষি অনুষদের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান, তাঁর বাড়ি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে। এ ঘটনায় পরের দিন নিহত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা কোতোয়ালি থানায় দুটি মামলা করেন। একটি মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্যসহ ৪১ জনকে এবং অপর মামলায় তৎকালীন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবু ইবনে রজব, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ ঘোষসহ ৩৭ জনকে আসামি করা হয়।

গত বছরের ১১ জুলাই এই মামলার প্রধান আসামি জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি আবু ইবনে রজবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রায় সাত মাস জেলহাজতে থাকার পর বর্তমানে তিনি জামিনে আছেন। এ ছাড়া সিআইডির অভিযোগপত্র দাখিলের পর থেকে প্রায় এক বছর পলাতক থেকে গত ১৫ জুলাই আদালতে আত্মসমর্পণ করেন বিশ্বজিৎ ঘোষ। তিনি এখন কারাগারে।