সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার তালতলা এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভেঙে যাওয়া রিং বাঁধ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে সংস্কার করা হয়েছে। ফলে লোকালয়ে পানি ঢোকা বন্ধ হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে খোলপেটুয়া নদীর জোয়ারের পানিতে বন্যতলা থেকে তালতলা এলাকার বাঁধের দুই স্থান ভেঙে লোকালয়ে ঢুকতে শুরু করে।
আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর গ্রামের রুহুল কুদ্দুস ও আহমেদ গাজী জানান, ২০২০ সালের মে মাসে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে প্রতাপনগর এলাকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) একাধিক স্থান ভেঙে যায়। এতে প্রতাপনগর ইউনিয়নের ১৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়। এর প্রায় ৯ মাস পরে এলাকার মানুষ বাড়ি ফিরতে না ফিরতেই ২০২১ সালের ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে আবার পাউবোর বাঁধের আটটি স্থান ভেঙে প্রতাপনগর ইউনিয়নের সব এলাকা প্লাবিত হয়।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের সময় পাউবোর বাঁধের সাতটি স্থান মেরামত করে লোকালয়ে পানি ঢোকা বন্ধ করা গেলেও বন্যতলা এলাকার বাঁধ সংস্কার করা যায়নি। দিনে দুবার ওই স্থান দিয়ে পানি ঢুকে এলাকায় প্লাবিত হচ্ছিল। একপর্যায়ে এলাকাবাসীর চেষ্টায় বন্যতলা মান্দার মোল্যার বাড়ির সামনে থেকে তালতলা বাজার পর্যন্ত সাড়ে তিন কিলোমিটার রিং বাঁধ দিয়ে ওই এলাকার ৭০ শতাংশ এলাকায় পানি ঢোকা বন্ধ করা সম্ভব হয়।
মঙ্গলবার রাতে ওই রিং বাঁধের দুই স্থানে ভেঙে আবার প্রতাপনগর গ্রামের ৫০০ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে।
স্থানীয় সাংবাদিক মাসুম বিল্লাহ জানান, বুধবার সকাল সাতটার দিকে নদীতে ভাটা শুরু হলে ৪০০-৫০০ জন স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে খোলপেটুয়া বাঁধের প্রতাপনগর ফাজিল মাদ্রাসা ও শিক্ষক আবদুল জব্বারের বাড়ির সামনে ভেঙে যাওয়া অংশ সংস্কার শুরু করেন। বেলা একটার দিকে এসব স্থানে মেরামতের কাজ শেষ করা সম্ভব হয়।
এ বিষয়ে পাউবোর সেকশন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, বন্যতলা এলাকার বাঁধ মেরামত করার জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে। মঙ্গলবার ভেঙে যাওয়া বাঁধ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে গ্রামবাসী মেরামত করতে সক্ষম হয়েছে। এ কাজে পাউবো তাঁদের সহযোগিতা করেছে।