স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, এখন করোনার সংক্রমণ কমে আসছে। গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত সারা দেশে করোনা সংক্রমণ ১৫ শতাংশ ছিল, যদিও মৃত্যুহার বেশি ছিল। যেহেতু করোনা কমে আসছে, সেহেতু সামনে স্কুল-কলেজ খুলে দিলে সমস্যা হবে না।
আজ শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ সদরে গড়পাড়া এলাকার শুভ্র সেন্টারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আশার কথা হলো স্কুল–কলেজের প্রায় সব শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হয়ে গেছে। কলেজের প্রায় ২৮ লাখ শিক্ষার্থী বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। স্বাস্থ্যবিধি মানা হলে স্কুল-কলেজ খুলে দিলে সমস্যা হবে না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিষয়ে সরকার ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। আমাদের কাছে পরামর্শ চাইলে আমরা পরামর্শ দিয়ে থাকি। ২১ ফেব্রুয়ারির পর স্কুল–কলেজ খুলে দেওয়া হতে পারে বলে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন। তবে আমাদের পরামর্শ থাকবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে যেন স্কুল–কলেজ খোলা হয়। এ ছাড়া যেসব শিক্ষার্থী টিকা নেয়নি, তারা যেন টিকা নিয়ে নেয়।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আরও বলেন, ‘করোনায় অনেক ছেলেমেয়ে স্কুল-কলেজে লেখাপড়া করতে পারেনি। বিশ্বে অনেক স্কুল খুলে দেওয়া হয়েছে। সেখানে ক্লাস চলছে। স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার বিষয়ে আমাদের অনুমতি থাকবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের ৮৫ ভাগ মানুষের টিকা নেওয়া হয়ে গেছে। তাঁদের মৃত্যুঝুঁকি কমে গেছে। তবু আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সরকারি নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।’
করোনার টিকাদান কর্মসূচির অগ্রগতি নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এক বছর আগে টিকা কর্মসূচি হাতে নিই। ৬ ফেব্রুয়ারি আমাদের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। আমাদের টার্গেট ছিল এ সময়ের মধ্যে ১১ কোটি ৫৫ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া। আমরা টিকা দিয়েছি ১০ কোটি মানুষকে। অর্থাৎ ৮৬ ভাগ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এখনো বাকি রয়েছে দেড় কোটি মানুষ। তাঁদের টিকা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি।’