মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চারতলার সাত নম্বর ওয়ার্ডের একটি বিছানায় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন হিফাজ উদ্দিন (৫৫)। তাঁর মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। শরীরেও আছে আঘাতের চিহ্ন। চিকিৎসাধীন স্বামীর পাশে বসে আছেন তাঁর স্ত্রী লালভানু।
লালভানুর ভাষ্য, আজ সোমবার সকালে তাঁর স্বামী (হিফাজ) মাঠে ধান কাটতে যান। এর মধ্যে গ্রামে রটে, স্থানীয় ইউপি নির্বাচনে দুই ইউপি সদস্য–সমর্থকদের মধ্যে মারামারি চলছে। খবর পেয়ে তাঁর স্বামী মাঠ থেকে বাড়ির দিকে রওনা দেন। পথে সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে তিনি আহত হন। লালভানুর প্রশ্ন, ‘স্বামী গেলেন ধান কাটতে, এখন কেন হাসপাতালে?’
ভোট শুরু হওয়ার পর থেকেই এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছে বলে দাবি লালভানুর। তবে তাঁর স্বামী কোনো পক্ষের মিটিং-মিছিলে যেতেন না। তাঁদের দুই মেয়ে। তাদের বিয়ে হয়ে গেছে। বাড়িতে স্বামী-স্ত্রী থাকেন। কৃষিকাজ করে সংসার চলে।
হাসপাতালের বিছানায় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন হিফাজ। ইশারায় স্ত্রীকে কিছু বলার চেষ্টা করছেন। স্ত্রী শুধু সান্ত্বনা দিচ্ছেন।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ সূত্র জানায়, আজ সকালে ধলা গ্রাম থেকে ১৪ জনকে হাসপাতালে আনা হয়। তাঁদের মধ্যে দুজন মৃত ছিলেন। ১১ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি একজন হিফাজকে এই হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আহত প্রত্যেকের অবস্থা গুরুতর।