নরসিংদীর পলাশে স্বামীকে পিস্তলের ভয় দেখিয়ে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আজ রোববার সকালে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে পলাশ থানায় মামলাটি করেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম পাপ্পু খন্দকার। তিনি পলাশের ভাগ্যেরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনার তাঁর সহযোগী শাহাদাত হোসেনকেও আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ ও নির্যাতিত ওই নারীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই গৃহবধূর স্বামী পাপ্পু খন্দকারের অধীনে চাকরি করেন। কয়েক মাস ধরে বেতন না পাওয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করছিলেন তিনি। গত ২৬ অক্টোবর পাপ্পু খন্দকারের কাছে তিনি বেতনের টাকা চান। ওই সময় পাপ্পু খন্দকার তাঁকে বলেন, ‘বেতনের টাকা এখন তোমার হাতে দেওয়া হলে অযথা খরচ করে ফেলবে। তোমার স্ত্রীকে আমার কাছে নিয়ে আস, তার কাছে টাকা দেওয়া হবে। ২৬ অক্টোবর রাতেই মালিকের কথা অনুযায়ী সে তার স্ত্রীকে নিয়ে পাপ্পু খন্দকারের কাছে তার ব্যক্তিগত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে নিয়ে যান। পরে পাপ্পু পিস্তলের ভয় দেখিয়ে সহযোগী শাহাদাত হোসেনের সহায়তায় তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণ করেন। ওই সময় পাপ্পু ঘটনাটি কাউকে না জানানোর জন্য তাকে হুমকি দেন।’
পুলিশ সূত্র আরও জানায়, ভয়ে বিষয়টি কাউকে না জানালেও কয়েক দিন ধরে পাপ্পু খন্দকার পুনরায় ওই ব্যক্তির স্ত্রীকে তাঁর কাছে এনে দেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করেছিলেন। সর্বশেষ গত শুক্রবার আবারও তাঁকে তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে আসার জন্য চাপ দেওয়া হয়। গতকাল শনিবার রাতে তাঁর স্ত্রী বাদী হয়ে পাপ্পু খন্দকার ও তাঁর সহযোগী শাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন। আজ রোববার সকালে অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়।
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. নাসির উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ দুই ব্যক্তিকে আসামি করে ধর্ষণের একটি মামলা করেছেন। ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত পাপ্পু খন্দকার ও তাঁর সহযোগী শাহাদাত পলাতক। তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।