স্বতন্ত্র সাংসদ নিক্সন চৌধুরীর হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে তাঁর পক্ষে যোগ দিলেন চরভদ্রাসন আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা। আজ সকালে।
স্বতন্ত্র সাংসদ নিক্সন চৌধুরীর হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে তাঁর পক্ষে যোগ দিলেন চরভদ্রাসন আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা। আজ সকালে।

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন

স্বতন্ত্র সাংসদ নিক্সন চৌধুরীর সঙ্গে যোগ দিলেন আ.লীগের শতাধিক নেতা–কর্মী

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আজাদ খাঁর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতা-কর্মী ভাঙ্গা, সদরপুর, চরভদ্রাসন উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র সাংসদ মুজিবর রহমান ওরফে নিক্সন চৌধুরীর শিবিরে যোগ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ভাঙ্গার আজিমনগরে নিক্সন চৌধুরীর বাড়িতে গিয়ে তাঁর হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে নেতা-কর্মীরা যোগদান করেন।
উল্লেখযোগ্য অন্য নেতাদের মধ্যে আছেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোশাররফ হোসেন, ক্রীড়া সম্পাদক বোরহান মোল্লা, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. মোরাদ হোসেন, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী রওশন আরা, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. শামসুদ্দিন মোল্লা।

এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর স্বতন্ত্র সাংসদের শিবিরে যোগ দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো. কাউসার হোসেন। তিনি সাংসদের হাতে একটি সোনার নৌকা তুলে দেন।
এসব নেতা-কর্মীর সবাই আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সাংসদ কাজী জাফরউল্যাহর অনুসারী ছিলেন।

২০১৪ ও ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজী জাফরউল্যাহকে পরাজিত করে ফরিদপুর-৪ আসনের সাংসদ নির্বাচিত হন মুজিবর রহমান চৌধুরী নিক্সন। ২০১৪ সালে তাঁর প্রথম বিজয়ের পর থেকে ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন আওয়ামী লীগ কাজী জাফরউল্যাহ ও সাংসদ নিক্সন চৌধুরী সমর্থক হিসেবে বিভক্ত হয়ে যায়।

আজকের যোগদান অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. আজাদ খাঁ বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগ করি, বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সাংসদ নিক্সন চৌধুরীর হাতে ফুল দিয়ে আজ আমরা তাঁর ওপর আস্থা জ্ঞাপন করলাম। আগামী দিনে আমরা নিক্সন চৌধুরীর সঙ্গেই রাজনীতি করব।’
আওয়ামী লীগের নেতা ও কর্মীদের স্বাগত জানিয়ে সাংসদ নিক্সন চৌধুরী বলেন, ‘সাধারণ মানুষ আমাকে না দেখেই ২০১৪ সালে ভোট দিয়ে এমপি নির্বাচিত করেছে প্রথমবার, দ্বিতীয়বার ২০১৮ সালে আমাকে নির্বাচিত করেছে আমার উন্নয়ন দেখে।’