চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনা মসজিদ স্থলবন্দরের বিপরীতে ভারতের মহদিপুর স্থলবন্দরে পেঁয়াজবোঝাই প্রায় ৩০০ ট্রাক আটকে আছে। বুধবার বিকেলে বাংলাদেশি পেঁয়াজ আমদানিকারকেরা জানান, সোনা মসজিদ স্থলবন্দরে ঢোকার জন্য এসব পেঁয়াজ মহদিপুর স্থলবন্দরের কাস্টমস কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্রও পেয়েছে। তাঁরা আশা করেন, এসব পেঁয়াজের কিছু অংশ বুধবার থেকে সোনা মসজিদ স্থলবন্দরে ঢুকবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর ঢোকেনি।
ভারতীয় পেঁয়াজ রপ্তানিকারকেরা এসব পেঁয়াজ বাংলাদেশে ঢোকানোর জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের জন্য জোর তৎপরতা চালাচ্ছে। সোনা মসজিদ স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মাসুদ আলম, নুরুল ইসলাম ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের পেঁয়াজ আমদানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক বাবুল হাসনাতের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
বাবুল হাসনাত প্রথম আলোকে বলেন, দুই-তিন দিন ধরে আটকে থাকা এসব পেঁয়াজের কিছু অংশ ভ্যাপসা গরমের মধ্যে পচতে শুরু করেছে। এসব পেঁয়াজ ঢুকতে দেরি হলে বড় অংশ পচে যাবে। তিনি আরও বলেন, প্রায় এক সপ্তাহ আগে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি পেঁয়াজ আমদানি করমুক্ত থাকবে বলে ঘোষণা দেন। কিন্তু জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে এখন পর্যন্ত এ–সংক্রান্ত কোনো নির্দেশনা সোনা মসজিদ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে আসেনি। তিনি এ নির্দেশনা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান।
বাবুল হাসনাত বলেন, ভারতীয় কর্তৃপক্ষের বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণার আগেই চাঁপাইনবাবগঞ্জ সোনা মসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে প্রায় পাঁচ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি করা আছে।